সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন এবং করোনা মোকাবিলায় পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের পুলিশ বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের নারী পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা আমরা শুনতে পাই।’

রবিবার (৩ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহীর সারদায় ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী অনেক সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তাই পুলিশের সার্বিক উন্নয়নে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। নানাবিধ অপরাধ সংঘটিত হয়, সেগুলো দমন করা এবং পুলিশকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। নতুন নতুন ইউনিট গড়ে তুলি।’ ‘পুলিশের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ, শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন পুলিশ আমরা গড়ে তুলি। কারণ বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রটা ভিন্ন, সেজন্য ট্রেনিংটাও সেভাবে দেয়া দরকার। সেদিকটায় লক্ষ্য রেখে পদক্ষেপ নিয়েছি।’

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের দমনে পুলিশ দক্ষতারপরিচয় দেয়ায় আমরা বিভিন্নভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত পুলিশও আমরা গড়ে তুলি। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দুটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গড়ে তুলি।’ এছাড়া ‘জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ এন্টি টেররিজম ইউনিট এবং কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি) গঠন করা হয়েছে। অপরাধীকে শনাক্ত করা এবং মামলা তদন্তে তথ্য উদঘাটনে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার পুলিশ সেন্টার, গেরিলা, অটোমেটেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম এবং আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে।’

পূর্বকোণ/এএ