চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জুনের মধ্যে সাড়ে ৪ কোটি ভ্যাকসিন

অনলাইন ডেস্ক

২২ ডিসেম্বর, ২০২০ | ২:৩৪ অপরাহ্ণ

আগামী জুন মাসের মধ্যে দেশের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন পাবে। মুখে মাস্ক না থাকলে সরকারি-বেসরকারি কোনো অফিসে গিয়ে কেউ যাতে কোনো সেবা না পায় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।-বাসস

মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম একথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রথম দফায় যে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসার কথা, প্রতি দুই ডোজ ভ্যাকসিন মিলে একটি টিকা হবে। আরো ৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কোভেক্সের মাধ্যমে মে-জুন মাসের মধ্যে আসবে, এক মাস আগে-পরে হতে পারে।’ তিনি বলেন, ২০ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ দুই দফায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সচিব বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে আমরা প্রথম দফা ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। এজন্য তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে টিকা দেয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান। তিনি বলেন, ইপিআইয়ের (টিকা কার্যক্রম) যে ব্যাপক কার্যক্রম আছে, (করোনার টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে) সেটির ব্যবহার এবং বিভিন্ন হাসপাতাল এবং প্রাইভেট সেক্টরকে ব্যবহার করতে আলোচনা চলছে। মুখে মাস্ক না থাকলে সরকারি-বেসরকারি কোনো অফিসে গিয়ে কেউ যাতে কোনো সেবা না পায় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এটা ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্য স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

গ্রামাঞ্চলে, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সমাজের সচেতন ব্যক্তি সবাইকে এই কাজে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যেহেতু করোনাভাইরাস পৃথিবীতে স্প্রেড করছে, এটা আমাদের আরও একটু স্ট্রং একশনে যেতে হবে, যাতে যথাসম্ভব সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেইনটেইন করা যায়। আর মাস্কের কথা তো বার বার আলোচনায় আসছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। অতি সংক্রামক এই ভাইরাস প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যু ডেকে আনলেও নানা অজুহাতে এখনও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সে কারণে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট