চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

পাচার না করে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করুন, প্রশ্ন করব না : প্রধানমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুন, ২০১৯ | ৮:০১ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ দেশের বাইরে পাচার না করে দেশে বিনিয়োগ করা হলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না । তিনি আরও জানান,ভবিষ্যতেও যেন এ বিষয়ে তাদের প্রশ্ন করা না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ  আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশ থেকে অর্থ পাচার ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থপাচার ঠেকাতে আলাদা কমিটি আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, এটর্নি জেনারেলের কার্যালয়— সবাইকে মিলিয়েই কমিটি আছে। আন্তর্জাতিক কমিটিও আছে। দেশ থেকে যেন অর্থ পাচার হয়ে না যায়, সে কারণে অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শনের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এটা বন্ধ করার জন্যই বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা আমরাই কেবল নই, এর আগের সব সরকারই এই সুযোগ দিয়েছে। আমরাও এর আগে এই সুযোগ দিয়েছি। এখনো দিচ্ছি। মাঝে মাঝে সেই সুযোগ বন্ধও করেছি। তবে কালো টাকার স্তূপ যেন গড়ে না ওঠে, তাই এই টাকা প্রদর্শন করার সুযোগও করা হয়েছে।

অপ্রদর্শিত টাকা যেন বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকে, তাই আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে দিয়েছি। চাইলে সেখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকবে। তবে সেখানে বিনিয়োগ করতে চাইলেও সুনির্দিষ্ট হারে চার্জ বা সুদ দিতে হবে। এই সুনির্দিষ্ট হারের অতিরিক্ত চার্জ বা ফি জমা দিয়েই কালো টাকার মালিকেরা বিনিয়োগ করতে পারবেন। এ ধরনের বিনিয়োগে তাদের আর প্রশ্ন করা হবেনা বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

সমালোচকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ভালো না লাগা পার্টি যারা তাদের কোনো কিছুতেই ভালো লাগবে না। আমি এটুকু বলব দেশকে দারিদ্রমুক্ত করা, দেশকে উন্নত করা, সমৃদ্ধশালী করা এবং স্বাধীনতার সুফল যেন দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি আনতে সক্ষম হয়েছি।
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, যাদের মানসিক অসুস্থতা আছে। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। আপনি যত ভালো কিছু করেন না কেন তারা কোনো কিছুতে ভালো খুঁজে পায় না। যখন দেশে একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকে, যখন দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়, তারা কোনো কিছুই ভালো চোখে দেখেন না। তারা সব কিছুতেই কিন্তু খোঁজে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা কী গবেষণা করে তা জানি না। তারপরেও তাদের একটা কিছু বলতে হবে। এত সমালোচনা করেও আবার বলবে কথা বলতে পারি না। এই রোগটা তাদের আছে। এটা একটা অসুস্থতার মতো।

পূর্বকোণ/ ফারিহা

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট