চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রচলিত নিয়মে বইমেলার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ | ১১:২০ অপরাহ্ণ

অমর একুশে গ্রন্থমেলার জন্য বাংলা একাডেমিকে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত নতুন তালিখের প্রস্তাব করেছে দেশের প্রকাশকেরা। এসময় ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্টল বরাদ্দের সময় চেয়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হবে। চলবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ পর্যন্ত এমনটাই আশা প্রকাশকদের।

আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১’র তারিখ পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব দেয় পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।

বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক জানান, তারা প্রথমে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে দেখা করেন। বইমেলার তারিখ পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি তাকে বলেন। প্রতিমন্ত্রীও মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন। এরপর তারা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে লিখিত প্রস্তাব দেন। ফেব্রুয়ারির শুরুতে শীতের তীব্রতা কমলে করোনার সময়কালও পেরিয়ে যাবে। ফলে এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা করা সম্ভব।

এর আগে গত শুক্রবার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু হবে না। পাঠকদের মধ্যে বইমেলা নিয়ে যেন কোনো সংশয় তৈরি না হয়, সে কারণে বিকল্প হিসেবে ভার্চ্যুয়াল আয়োজনের কথা তারা ভাবছেন। গত বৃহস্পতিবার একাডেমির কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বাংলা একাডেমির এমন সিদ্ধান্তে সমালোচনা করছেন লেখক ও প্রকাশকেরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে বেশ জোরালো সমালোচনা হতে দেখা গেছে। লেখক, প্রকাশক, পাঠকেরা বলছেন, বইমেলার প্রকৃত আবহ ভার্চ্যুয়াল বইমেলার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব নয়। এটা লেখক ও পাঠকের মধ্যে যোগাযোগেরও জায়গা, এখানে আড্ডা হয়, গল্প হয়। তা ছাড়া একুশে বইমেলা শুধু বেচাকেনার বিষয় নয়, এটি চেতনার সঙ্গেও জড়িত।

প্রকাশকেরা বলেন, প্রতিবছর বইমেলার জন্য পাঠকেরা যেমন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন, তেমনি লেখক ও প্রকাশকেরা বইমেলাকে ঘিরে তাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ জন্য নতুন প্রকাশিতব্য বইয়ের পাণ্ডুলিপি এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে। আপত্তি ও ক্ষোভ নিয়ে রোববার সকালে প্রকাশক সমিতির নেতারা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে হাবীবুল্লাহ সিরাজী লিখিতভাবে নতুন একটি তারিখ প্রস্তাবের পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক প্রকাশকেরা আজ নতুন তারিখ প্রস্তাব করেছেন।  

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘৭ ডিসেম্বর ছিল স্টল বরাদ্দ চেয়ে আবেদনের শেষ সময়। কিন্তু প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই আবেদন করেনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা দেশের প্রকাশকদের অবস্থা ভালো নেই। তা ছাড়া অতীতে মূলত জানুয়ারি মাসে আমরা আবেদন করতাম, ভাড়ার টাকা জমা দিতাম। এবার আমরা আবেদনের সময় বাড়ানো, স্টল বা প্যাভিলিয়নের ভাড়া কমানো এবং প্রণোদনা চেয়েছিলাম সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে। মৌখিকভাবে সম্মতিও জানানো হয়েছিল। ’

 

পূর্বকোণ/এন.এইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট