চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাড়ছে মোবাইলে কথার খরচ, স্মার্টফোনের মূল্য

১৪ জুন, ২০১৯ | ২:১২ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় বাজেটে স্মার্টফোন আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়া মোবাইল ফোনের সিম বা রিমের ব্যবহারেও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে স্মার্টফোনের দাম বাড়ছে বাজারে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারে খরচ বাড়বে গ্রাহকদের। বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইসিটি খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে ৫-৬টি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ খাতে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কতিপয় যন্ত্রাংশের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করছি। এছাড়া, আমদানি পর্যায়ে স্মার্টফোন এবং ফিচার ফোনে এখন ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। ফিচার ফোন দেশের অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী ব্যবহার করে। অপরদিকে স্মার্টফোন দেশের বিত্তবান লোকজন ব্যবহার করে থাকে বিধায় স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে আগের চেয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরকে আরও ৫ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। অর্থাৎ আগে ১০০ টাকা ভরে যে যতক্ষণ কথা বলা যেত, নতুন বাজেটের ফলে ততক্ষণ কথা বলতে লাগবে ১০৫ টাকা। সম্পূরক শুল্কের এই বিধান বাজেট পাশের পর থেকে অর্থাৎ আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত রয়েছে। এর সঙ্গে আরও ২ শতাংশ সারচার্জ আরোপিত রয়েছে। সব মিলে এ খাতে করের হার ২২ শতাংশ। বর্তমানে ১০০ টাকা মোবাইলে ভরলে কথা বলার সময় এ থেকে ২২ টাকা কর হিসাবে কেটে নেয়া হয়। এই করের সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ফলে এ খাতে সম্পূরক শুল্কের হার বেড়ে ১০ শতাংশে দাড়াচ্ছে। ভ্যাটের হার অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে এই খাতে মোট করের হার দাঁড়াবে ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর প্রস্তাবিত কর কাঠামো বহাল থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে কথা বলার খরচ বেড়ে যাবে। তখন প্রতি ১০০ টাকায় ২৭ টাকা কর দিতে হবে। এখন দিতে হয় ২২ টাকা।
প্রসঙ্গত, মোবাইল ফোন থেকে সহজে কর আদায় সম্ভব বলে সরকার এ খাতে হাত বাড়িয়েছে। সরকারের পক্ষে মোবাইল কোম্পানিগুলো এসব কর কেটে নেবে। পরে মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরকার এসব কর আদায় করে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট