চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ড. মো. সেলিম উদ্দিন

আন্তরিক হলে উজ্জ্বল সম্ভাবনা বাস্তবায়নের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুন, ২০১৯ | ২:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ও ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের নির্বাহী কমিটি চেয়ারম্যান ড. মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটটি অনেকগুলো বিষয়কে যথা : ৩য় মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথম বাজেট, বিগত নির্বাচনী ইশতেহার, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শেষ বছর, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর, উন্নয়নশীল দেশের পথে উত্তরণ, এসডিজি বাস্তবায়ণ, রোহিঙ্গা ইস্যু, বদ্বীপ পরিকল্পনা ২০১০, রূপকল্প-২০৪১, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী
। ৯ম পৃষ্ঠার ৩য় ক.

পরিকল্পনা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল অর্থনীতি, ৪র্থ শিল্প বিপ্লব, সকল শ্রেণীর ও পেশার মানুষকে মনোযোগ ও গুরুত্ব, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী নীতি কৌশল সমূহকে সামনে রেখে এই বাজেট প্রণীত হয়েছে। শষ্যবীমা, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, বিনিয়োগ প্রণোদনা, প্রবাসী আয় আকর্ষণ, সামাজিক সুরক্ষা প্রয়াস বৃদ্ধি, ব্যাংক ও পুঁজি বাজার সংস্কারের অঙ্গীকার, নতুন এমপিওভুক্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো এ বাজেটকে কিছুটা নতুনত্ব দিয়েছে। কোন ধরনের তাৎপর্যপূর্ণ নতুন করারোপ ছাড়াই এই বিশাল, বৃহৎ, এবং উচ্চ বিলাসী বাজেট আগামী ছয় মাসে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয়ের কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ সঠিক অর্থে ও মানসর্ম্মতভাবে বাস্তবায়িত হলে সামগ্রিম চাহিদা বৃদ্ধি,অবকাঠামো ঘাটতি হ্রাস এবং দারিদ্্রবান্ধব, অন্তর্ভূক্তি মূলক ও বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বিধানমূলক ব্যয় ইত্যাদির মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট সার্বিক জনকল্যাণে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। মোদ্দকথা, প্রস্তাবিত বাজেটের সাফল্য অনেকাংশ নির্ভর করবে সারা বৎসরের আর্থিক কর্মকা-গুলো মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিকের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে গুণগত ও পরিমাণগত বৈশিষ্ট্যের আলোকে বাস্তবায়নের উপর। কেননা বিগত বৎসর সমূহে বাজেট অবাস্তবায়নের হার প্রায় ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ শতাংশ পৌঁছেছে।
এই বাজেটে সবচাইতে ভাল দিক হলো চলতি বছরের বাজেটের তুলনায় ২০১৯-২০ বাজেটের মোট ব্যয়, মোট রাজস্ব এবং এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর রাজস্বের প্রবৃদ্ধি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং জবাবদিহিতায় আন্তরিক হলে বাস্তবায়নের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট