চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিজয়ের মাসে পদ্মা জয়

অনলাইন ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর, ২০২০ | ১২:৩১ অপরাহ্ণ

দক্ষিণ জনপদের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পদ্মাসেতুর পুরোটি দৃশ্যমান হল। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর ‘টু-এফ’ নামে ৪১তম স্প্যানটি বসানোর মধ্যদিয়ে পদ্মার দুই পাড়ে সেতুবন্ধন তৈরি হয়। এতে সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

এর আগে হালকা কুয়াশার মধ্যেই সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর টু-এফ নম্বর স্প্যানটি বসাতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কাজ শুরু করেছেন প্রকৌশলীরা।

এরপর দ্বিতল এই সেতুর ঢালাইয়ের কাজ, এপ্রোচ রোড ও ভায়াডাক্ট প্রস্তুত করা, রেলের জন্য স্ল্যাব বসানো হয়ে গেলেই স্বপ্নের পদ্মাসেতু যানবাহন চলাচলের উপযোগী হবে।

আর এক বছরের মধ্যেই সেতুটি চালু করা যাবে বলে ইতোমধ্যে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এই মাহেন্দ্রক্ষণ ঘিরে পদ্মাপাড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। কেবল পদ্মার দুই তীরের বাসিন্দারা নন, ঢাকা থেকেও অনেকে এসেছেন সেতুর শেষ স্প্যানটি বসানোর কাজ নিজে চোখে দেখতে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুর কাদের জানান, গত শুক্রবার পদ্মা সেতুর ৪০তম স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে ছয় কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়। ৪১তম স্প্যানটি বসাতে বুধবারই সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগসড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট