চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

টাকা পাচার বন্ধে হচ্ছে পৃথক তদন্ত ইউনিট

পূর্বকোণ ডেস্ক

৭ ডিসেম্বর, ২০২০ | ৭:৪৫ অপরাহ্ণ

টাকা পাচার বন্ধে আলাদা তদন্ত ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এখন থেকে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এ ধরনের ইউনিট গঠন করতে হবে।

এর সদস্যরা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঘটনা নিয়েও কাজ করবে। পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের সভায় এ বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। মানি লন্ডারিং আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকেও এ ব্যাপারে ইতিবাচক মত আসে। এছাড়া আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) নীতিমালায়ও দ্রুত ঘটনা শনাক্তে আলাদা তদন্ত ইউনিট গঠনের সুপারিশ করা হয়। এসবের আলোকেই মূলত এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, দেশের ১৭ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বিএফআইইউতে নিয়মিতভাবে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট (এসটিআর) ও নগদ লেনদেনের রিপোর্ট (সিটিআর) দাখিল করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে, সব ধরনের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, মানি চেঞ্জার্স। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা করে এমন যে কোনো প্রতিষ্ঠান, মানি ট্রান্সফারের কাজে নিয়োজিত যে কোনো প্রতিষ্ঠান, শেয়ারবাজারের স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলারও এর মধ্যে পড়ে। পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও মার্চেন্ট ব্যাংকার, সিকিউরিটিজ কস্টোডিয়ান, অ্যাসেট ম্যানেজার, নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন, নন-গভর্মেন্ট অর্গানাইজেশন, সমবায়ী প্রতিষ্ঠান, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানও আছে। বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু ও পাথরের ডিলার, ট্রাস্ট অ্যান্ড কোম্পানি সার্ভিস প্রোভাইডার, ল’ফার্ম, নোটারি পাবলিক, অন্যান্য পেশাজীবী ও অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রতিষ্ঠানও এর আওতায় পড়ে। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে বিএফআইইউতে সন্দেনজনক লেনদেন বা নগদ লেনদেনের রিপোর্ট দাখিল করে।

হিসাবের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত বেশি লেনদেন হলে গ্রাহক যদি তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিতে পারেন তবে সেগুলো সন্দেহজনক হিসাবে গণ্য হবে। দিনে এক বা একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে ১০ লাখ বা তার বেশি অঙ্কের অর্থ নগদ তুললে তা নগদ লেনদেন রিপোর্ট হিসাবে বিএফআইইউকে জানাতে হবে।আলোচ্য ১৭ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই দেশ থেকে বেশির ভাগ অর্থ বিদেশে পাচার হয় বা মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসহ অন্যান্য তদন্ত সংস্থাগুলোতেই আলাদা তদন্ত ইউনিট গঠন করতে হবে।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট