পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে ভাসানচর আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হতে পারে। নিজ কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে মন্ত্রী কতজনকে পাঠানো হতে পারে সে সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানোর সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মহাপরিচালক আমাকে বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের খাওয়ানোর জন্য কুতুপালং ক্যাম্পের চেয়ে খরচের বেশি তফাৎ হবে না। যেসব রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাবেন তারা সেখানে মাছধরা, মুরগিপালন, গরুপালনের মতো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে অনেক বক্তব্য শুনলেও কাজের সময় উল্টো পরিস্থিতি হয়। বিশেষ করে চীনের ওপর বাংলাদেশ অনেক আশা করেছিল যে তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে। সবাই বলে, কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফেরত যায় না। তিন বছর পার হয়ে গেছে, একজনও ফেরত যায়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন, তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। জাপানের সঙ্গে মিয়ানমারের খুব ভালো সম্পর্ক। সুতরাং ধারণা করছি, জাপানের কথা মিয়ানমার শুনবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে আনার লক্ষ্যে আশ্রয়ন-৩ প্রকল্প নামে বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প গ্রহণ করে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় ।
পূর্বকোণ/আরপি