সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণের প্রেক্ষাপটে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোর ক্যাম্পাসে বিনা প্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে ঢুকতে মানা করা হয়েছে। একইসাথে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কলেজগুলোর ছাত্রাবাস বন্ধ রেখে সেগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের সব কলেজের অধ্যক্ষদের আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চিঠি পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
চিঠিতে একটি নির্দেশনায় বলা হয়, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ কলেজ ক্যাম্পাসে বিনা প্রয়োজনে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাফায় ফলে কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে নিরাপত্তা বজায় রাখাসহ কলেজের সকল সরকারি সম্পদ ও সরঞ্জামের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণকে সচেষ্ট থাকতে হবে। এছাড়া অধ্যক্ষদের ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে জরুরিভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের জন্য ‘বিশেষভাবে’ অনুরোধ জানিয়েছে মাউশি।
জনসাধারণকে ঢুকতে বারণ করা ছাড়া চিঠিতে উল্লেখিত অন্য নির্দেশনাগুলো হল-
১. ছাত্রাবাসসমূহ বন্ধ রাখতে হবে এবং ছাত্রাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২. স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে পুলিশ টহল জোরদার করতে হবে।
৩. প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকসহ সকল প্রবেশপথে সার্বক্ষণিক প্রহরী নিয়োজিত রাখতে হবে।
৪. প্রতিষ্ঠানে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে নিয়মিত পরিদর্শন প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
৫. অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চালু রাখতে হবে এবং আঞ্চলিক পরিচালককে নেয়ার তথ্য দিতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাসে অংশগ্রহণ মনিটরিং এবং অভিভাবকের সঙ্গে সংযোগ সাধন করতে হবে।
৭. শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
৮. কলেজের বিজ্ঞানাগার ল্যাব, আইসিটি ল্যাব, লাইব্রেরিসহ সার্বিক সরকারি সম্পত্তি ও নথি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশেই কলেজগুলোতে মুক্ত হাওয়ায় স্থানীয়দের ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা কখনও ছিল না। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন স্থানীয় এক নববধূ। এরপর থেকেই এই ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কয়েক কর্মীর সারাদেশে নিন্দা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
পূর্বকোণ/আরপি