সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুন) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বিপ্লব বড়ুয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়কে ফোন করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নাসিমের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার করেনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভোররাতে তার ব্রেইন স্ট্রোক হয়। ব্রেইন স্ট্রোকের কারণে অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁর জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে নাসিমের অস্ত্রোপচার হয়।
নাসিমের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় জানান, আজ তার বাবাকে কেবিনে নেয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করে ব্রেইন স্ট্রোক করায় অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। তিনি তার বাবার জন্য দেশবাসী কাছে দোয়া চান।
রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করেনাভাইরাস পজিটিভ আসে।
৭২ বছর বয়সী মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেন।
২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬–২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পূর্বকোণ/পিআর