চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

'প্রকৃতির জন্য সময় ' প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস
'প্রকৃতির জন্য সময় ' প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস

‘প্রকৃতির জন্য সময় ‘ প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস

অনলাইন ডেস্ক

৫ জুন, ২০২০ | ১:২৩ অপরাহ্ণ

চলছে করোনাকাল। পুরো বিশ্ব বন্দিদশায় জীবন কাটাচ্ছে। করোনা মহামারিতে যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন এই বিপর্যস্ত পৃথিবীতে প্রকৃতি নতুন করে ফিরে পেল  তার হারানো সৌন্দর্য। ফিরেছে তার আপন মহিমায়।করোনাকালের  এই বাস্তবতা থেকে নতুন করে শিখতে শুরু করেছে মানুষ। তবে সেই শিক্ষা করোনার পরও থাকবে কিনা এখন সেটিই দেখার বিষয়।

আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। চলতি বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘টাইম ফর নেচার’। অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এখনই সময়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষার যে তাগিদ দুনিয়াব্যাপি আলোচিত হচ্ছিলো মানুষের অতিপ্রয়োজনীয়তা তাতে বাঁধ সাধছিল। করোনা মানুষের সেই অতিপ্রয়োজনীতা কমিয়ে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করছে। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ঢাকার বাতাসে যেমন কমেছে সিসার বিষ, তেমনি শব্দের দূষণও কমেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফিরে এসেছে নীল তিমি।

১৯৭২ সালে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতি বছর সারাবিশ্বে ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। এ কারণে প্রতিবছরই ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্বের সাথে সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সেভাবে দিবসটি পালনের মতো কোন সুযোগই নেই। তবে পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম করা হচ্ছে।

তথ্য মতে জানা যায় , করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর আয়োজক দেশ হিসাবে জার্মানি ও কলম্বিয়া ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল আয়োজন করবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’ এর বায়ুমান সূচকে (একিউআই) বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম স্থান থেকে সরে ৭৩ তমতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সূচকের মান জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে যেখানে ছিল ৩০০ এর উপরে। যা শুধু অস্বাস্থ্যকর নয়, দুর্যোগের পর্যায়ে বলে মনে করতেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানে এখন সেই সূচক নেমে এসেছে ৫০ এর নিচে। গত দুইদিনের বৃষ্টিতে এখন তা নেমে দাঁড়িয়েছে ২৫ এ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার জানান, লকডাউনের কারণে যানবাহন কম, ইট ভাটা বন্ধ, কনস্ট্রাকশন কাজ বন্ধ থাকায়  বায়ু দূষণের মাত্রা অনেক কমে গেছে। আমরা এক সময় যেখানে মাত্রার দিক থেকে প্রথম স্থানে ছিলাম এখন তা বেশিরভাগ দিনই ১০০ এর নিচে থাকে। গত দুইদিনের বৃষ্টিতে সেটি আরও কমে গেছে। এখন আমরা স্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছি। যা আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই ভাল খবর। তবে এখন আবার সব খুলতে শুরু করেছে। ফলে কী কী কারণে দূষণ হয় তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সরকারের উচিত এখন এসব বিষয়ে আরও কঠোর হওয়া। তাহলে আমরা সব সময় স্বাস্থ্যকর বায়ু পেতে পারি।

অন্যদিকে করোনার প্রভাবে গত দু’মাস ধরে চিরায়ত শব্দ দূষণের যন্ত্রণার হাত থেকে অনেকটাই মুক্ত রাজধানীবাসী। তবে একটু একটু করে জীবনযাত্রা সচল হওয়াতে শব্দ দূষণ কিছুটা বেড়েছে।

পূর্বকোণ/ এএ 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট