চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে জুনের মধ্যে

ই-পাসপোর্ট ইস্যুর জন্য প্রস্তত অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ মে, ২০১৯ | ২:৩২ পূর্বাহ্ণ

উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে চিপ বসানো ই-পাসপোর্ট বা বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট চালু করার পথে জোরকদমে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বজুড়ে থাকা বাংলাদেশের দুতাবাসগুলোকেও নতুন ই-পাসপোর্ট সেবা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে পর্যায়ক্রমে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জুলাই থেকে বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট চালু করার ব্যাপারে পুরোদমে প্রস্তুত হয়ে আছে তারা। তবে, ফি এবং মেয়াদ ১০ বছর করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের চুড়ান্ত অনুমোদন এখনও হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের কমিটি সুপারিশ পেশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে। এখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর ফিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। পাসপোর্টের বর্তমান মেয়াদ ৫ বছর। বায়োমেট্রিকের ক্ষেত্রে তা ১০ বছর করার ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এসব যাবতীয় কার্যক্রম জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত কমিটি ১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের অধিক যাদের বয়স তাদের তাদেরকে ৫ বছর মেয়াদের এবং ১৮ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে যাদের বয়স তাদের অনুকূলে ১০ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট ইস্যুর সুপারিশ করেছে। কমিটি পাসপোর্ট ফি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। সুপারিশ অনুযায়ী সাধারণ, জরুরি এবং অতি জরুরি পাসপোর্টের ফি হবে ভিন্ন ভিন্ন। পাসপোর্ট হবে ৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৬৪ পৃষ্ঠার।
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার পরামর্শে বাংলাদেশে ২০১০ সালে চালু হয় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট। কিন্তু এই ব্যবস্থায় দশ আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষিত না থাকায় একাধিক পাসপোর্ট তৈরির সুযোগ থেকে যায়। তাই ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী ভাষণে নির্দেশ দেন ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের। ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানি সফরকালে সেদেশের ভেরিডোস জিএমবিএইচ-এর সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা চুক্তি হয় ই-পাসপোর্ট চালুর ব্যাপারে।
ই-পাসপোর্টের জন্য ৪৫৬৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। এর আওতায় জার্মান কোম্পানিটি দেশের সব পাসপোর্ট অফিস এবং বিদেশে বাংলাদেশ দুতাবাসগুলোতে প্রয়োজনীয় সুবিধা স্থাপন করবে। এছাড়া, দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, স্থল বন্দর, সমুদ্র বন্দর এবং ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ৫০টি ই- গেইট স্থাপন করবে। নির্ঝঞ্ঝাটে একেবারে ন্যুনতম সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন পয়েন্ট অতিক্রম করতে পারবেন ই-পাসপোর্টধারীরা।
প্রায় ১৫ বছর আগে উন্নত বিশ্বে চালু হয় ই-পাসপোর্ট। বর্তমানে চীন, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাতসহ ১৫০টির বেশি দেশ ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে। ভারতে অবশ্য এখনও তা কুটনৈতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমিত।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট