চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ মে, ২০১৯ | ১১:৫৪ অপরাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জে দিনদিন বেড়েই চলেছে এইডস রোগীর সংখ্যা। এ জেলায় আগে এইডস রোগীর সংখ্যা ছিল চারজন থাকলে তা বর্তমানে ৮১ জনে দাঁড়িয়েছে।
মাদকসেবীদের মাধ্যমে ছড়ানো এইডসের জীবাণুই এ সংখ্যা ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ। মাদকসেবীরা অনিরাপদ সুই-সিরিঞ্জ ব্যবহার করে মাদক নিচ্ছে। একটি সুই-সিরিঞ্জ দিয়ে একত্রে বসে সবাই মাদক নেয়ার কারণে একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে সহজেই ছড়াচ্ছে এইচআইভির জীবাণু।
নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাকির হোসেন বলেন, কয়েক মাস আগে ২২ মাদকসেবীর দেহে এইচআইভির ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। নারায়ণগঞ্জে সন্ধান পাওয়া সব এইডস রোগীই জেলা সদর ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দা।
মাদকসেবীদের নিয়ে কাজ করা কেয়ার বাংলাদেশের কর্মকর্তা সৈয়দ রবিউল হক গণমাধ্যমকে জানান, প্রতি মাসে তারা এইচআইভিতে আক্রান্ত মাদকসেবীর সংখ্যা হালনাগাদ করেন। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে এ সংখা বেড়ে ৭৭-এ দাঁড়িয়েছে। আগের চারজন এইডস রোগীসহ বর্তমানে জেলায় এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সারা দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪৫৫ জন। এর মধ্যে মাদকসেবী আছে প্রায় ১৩ হাজারের মতো। মাদকসেবীদের মাধ্যমে দ্রুত এ মরণব্যাধি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
এইডসে আক্রান্ত এসব রোগীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, লাইট হাউস নামে একটি সংগঠন আমাদের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে আগের শনাক্ত হওয়া চারজন এইডস রোগীর চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। তাদের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। তবে তাদের রক্তের মধ্যে এইডসের জীবাণু রয়েছে। একেবারে তাদের সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। যতটুকু সম্ভব ততটুকু চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি কর্মসূচি আয়োজিত এক এডভোকেসি সভায় বলা হয়েছিল, এইডস ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত দেশের ২৩ জেলার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ অন্যতম।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, মাদক একটি মৃত্যুর নাম। এখন জানতে পারলাম এ মৃত্যুর সঙ্গে আরেকটি মৃত্যুর সম্পর্ক রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। ফলে আমার থানায় প্রতিদিনই মাদক মামলা হয়। প্রতিটি অফিসারই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করেন।
এ কারণে থানা এলাকার প্রতিটি স্থানেই পুলিশ অভিযান চালায়। মাদকের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হয় না। মাদকের আড্ডা যেখানে বসে থানায় কেউ খবর দিলে সেখানে সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেয়া হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট