চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাঙামাটিতে ইউপি সদস্য ধর্ষিত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

পূর্বকোণ প্রতিনিধি, রাঙামাটি অফিস

২৭ এপ্রিল, ২০১৯ | ৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটিতে এক নারী ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং ওর্য়াডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য। অভিযুক্ত লম্পট ঝংকু চাকমা ওরফে বাবলুকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি লংগদু উপজেলার ছোট কাট্টলী এলাকায়। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শহরের রিজার্ভবাজার এলাকার গ্রীনহিল নামে একটি আবাসিক হোটেলে চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে জানাজানি হয় মামলার পর গতকাল শুক্রবার। পুলিশ ও ভিকটিম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে। ভিকটিম জানায়, ঝংকু চাকমা কয়েক দিন তাকে মোবাইল ফোনে বলে, সেনাবাহিনীর লোকজন তোমাকে খুঁজছে। সম্ভবত যে কোনো সময় তোমাকে ধরতে পারে। এমন কথায় ভয়তে লংগদু থেকে রাঙামাটি এসে নিরাপদে আত্মগোপন করেন ভিকটিম। ঘটনার সময় ঝংকু চাকমা ওই হোটেলের তৃতীয় তলায় ভাড়া করা একটি কক্ষে নিয়ে যায়। রাতে পানীয় খাবারে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে লম্পট ঝংকু। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিয়ে তিনি (ভিকটিম) তার স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তীতে রাঙামাটি কোতোয়ালী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ উক্ত নারীকে বর্তমানে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করেছে মন্তব্য করে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি জানিয়েছেন, আমরা উক্ত ভূক্তভোগী নারী কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা গ্রহণ করি। মামলা নাম্বার-২৮, তারিখ-২৬/০৪/২০১৯ইং।
মীর জাহেদুল হক রনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত ঝংকু চাকমার নামে আগেও অপরজনের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে আরো একটি মামলা রয়েছে। দন্ডবিধি ৩৮০/৩৭৯/৫০৬(২)/৪৯৮ ধারায় দায়েরকৃত উক্ত মামলা নাম্বার ছিলো-১৬, তারিখ: ২৩/০৩/২০১৯ইং।
এদিকে ধর্ষণের শিকার নারীকে বর্তমানে রাঙামাটি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে আগামী রবিবার তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গ্রেপ্তারকৃত ঝংকু নিজেকে বিভিন্ন সময় নিরাপত্তা বাহিনীর নিজস্ব লোক পরিচয় দিয়ে নানা রকম অপকর্ম চালাতো। বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েদের নিয়ে এসে রাতে হোটেলে রাত কাটানোসহ এবং তার মালিকানাধীন কাপ্তাই হ্রদের ওপারে অবস্থিত মেজাং রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে প্রায় সময়ই ফুর্তি তামাশায় লিপ্ত হয় ঝংকু ওরফে বাবলু চাকমা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট