চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

খালেদার পরবর্তী জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার

অনলাইন ডেস্ক

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৩:৪১ অপরাহ্ণ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার ধার্য করেছেন আদালত। একই সঙ্গে বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে তার স্বাস্থ্যগত সর্বশেষ তথ্য আদালতকে জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একে এম জহিরুল হকের সম্বনয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

দুপুর দুইটায় এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। শুনানিকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেয়া হয়। বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটের প্রবেশপথে তল্লাশি এবং পরিচয়পত্র চেক করে জনসাধারণকে সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

দুর্নীতির দুই মামলায় মোট ১৭ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দি খালেদা জিয়া গত এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন এখনো আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

এরপর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। পরে গত বছরের ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত ও সম্পত্তি জব্দ করার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।

এরপর গত ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এরপর আপিল বিভাগে গিয়েও ফল পাননি। ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেন।

 

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট