চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনাভাইরাস ১৫শ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা রপ্তানিখাতে

পূর্বকোণ ডেস্ক

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের প্রভাবে আগামী ৫ থেকে ৬ মাস যদি চীন থেকে পণ্য না আসে বা বন্ধ থাকে তাহলে রপ্তানিখাতে প্রায় ১২শ থেকে ১৫শ কোটি টাকার সম্ভাব্য ক্ষতি হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে একটি হোটেলে বিজিএপিএমইএ আয়োজিত বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পখাতের উপর করোনাভাইরাসের প্রভাব শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান। কাদের খান বলেন, চীন থেকে মোট
। ১১ পৃষ্ঠার ৪র্থ ক.

এক্সেসরিজের ৪০ বা ৫০ শতাংশ আমদানি করা হয়। তবে আমাদের যে চাহিদা রয়েছে এতো অল্প সময়ে কাছাকাছি দেশ ভারতসহ অন্য কেউ এই সাপোর্ট দিতে পারবে না। তবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি যদি চীনের কারখানাগুলো খুলে যায় তাহলে আমাদের চাহিদা পূরণে সময় লাগবে না। যদি কোনো কারণে সেটা না হয় তাহলে রপ্তানির জন্য বিকল্প পথ খুঁজতে হবে।

‘আমরা সাধারণত বন্ডেড ওয়্যার হাউসের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করি। ইচ্ছে করলেই আমরা অনেক বেশি আনতে পারি না। আমাদের রপ্তানির ওপর একটা লিমিটেশন আছে। অর্থাৎ সারা বছর আমাদের আমদানি প্রাপ্যতা কত সেটা বেইজ করে কারখানাগুলো পণ্য আমদানি করে থাকে’, যোগ করেন আব্দুল কাদের খান। তিনি আরো বলেন, আমরা লোকাল মার্কেট থেকে কিছু কিছু পণ্য কিনতে গিয়ে দেখছি কোনো কোনো পণ্যে শতভাগ দাম বেড়েছে। অর্থাৎ কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শুরু করেছি। আর চীন থেকে যদি আগামী ৫ থেকে ৬ মাস পণ্য আসা বন্ধ থাকে তাহলে রপ্তানিখাতে এর প্রভাব পড়বে। কাঁচামাল না পাওয়ার কারণে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ থাকবে, ব্যাংকের ইন্টারেস্ট বসে বসে দিতে হবে।

এজন্য আমাদের সেক্টরকে বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতা দরকার। অন্যদিকে, চীনে ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক ছুটি থাকে ৭ থেকে ১০ দিন। ওই সময়টা মাথায় রেখে আমরা পণ্য আমদানি করে থাকি। কিন্তু সময়টা বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা এরইমধ্যে ৮ থেকে ১০দিনের গ্যাপে পড়ে গেছি। অনেকের পণ্য পোর্টে আসলেও ডকুমেন্টস নেই। আবার ডকুমেন্টস আছে পণ্য নেই। চীনের ব্যাংকগুলো বন্ধ। সবমিলিয়ে সমস্যা কিন্তু তৈরি হয়ে গেছে।- ফোকাস বাংলা
কাদের খান আরও বলেন, কাঁচামালের দাম বাড়ছে। আগামী ১ বা দেড় মাস থেকে সমস্যা শুরু হবে। অন্যদিকে, আমরা কিন্তু বায়ারদের কাছে বাড়তি মূল্য পাব না। কিন্তু পণ্য বেশি দামে কিনতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে ক্ষতি আমাদের হবেই। আর এরইমধ্যে আমাদের প্রায় ১০০ বা ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েই গেছে। এছাড়া আমাদের প্রায় ১ হাজার ৭৪৪টি প্রতিষ্ঠান আছে। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৫টির মতো পণ্য উৎপাদন করে থাকে এবং ৯৫ শতাংশ দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে থাকে।

সংগঠনটির উপদেষ্টা রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, এই কারখানাগুলো টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন অবস্থা হবে। এখন যদি জিরো শতাংশে ব্যাংকলোনও দেওয়া হয় তাহলেও সার্ভিস দেওয়া কষ্টসাধ্য। সুতরাং এখানে এখন সরকারের পক্ষ থেকে কিছু থোক বরাদ্দ প্রয়োজন। পাশাপাশি ব্যাংকের সহায়তা দরকার। একই সাথে কাস্টমস ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সকলের সহযোগিতা থাকতে হবে। অন্যথায় এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে। কেননা এই এক্সেসরিজের কারণে গার্মেন্টস সেক্টর, লেদার সেক্টর, ফার্মাসিউটিক্যাল সমস্যায় পড়বে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত অর্থবছরে এসে এই সেক্টরে মোট রপ্তানি হয়েছে ৭ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে সরাসরি রপ্তানি ছিল ১ বিলিয়ন ডলার। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট