চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

২০ লাখ টাকা মূল্য রাজকুমারীর !

পূর্বকোণ ডেস্ক

২১ মে, ২০১৯ | ৩:৪০ অপরাহ্ণ

আইনি লড়াই শেষে কুড়িয়ে পাওয়া সেই  ‘রাজকুমারি’র অস্থায়ী অভিভাবক মনোনীত হয়েছেন জামালপুরের বকশীগঞ্জের সুমন দম্পতি। রাজকুমারীর নামে ২০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে ব্যাংক রশিদ আদালতে জমা দেওয়ার শর্তে তাদের অভিভাবকত্ব মিলেছে।

জামালপুরের পারিবারিক সহকারি জজ আদালতের বিচারক ফারহানা আক্তার শর্ত মেনে নেওয়ায় সুমন দম্পতিকে ৪৫ দিনের জন্য অস্থায়ী অভিভাবক মনোনীত করেছেন।

আজ সোমবার ( ২০ মে ) জামালপুরের পারিবারিক আদালতের বিজ্ঞ সহকারি জজ ফারহানা আক্তার রাজকুমারী মামলার রায় দেন। রায়ে সিটি ব্যাংকে রাজকুমারীর নামে ২০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিটসহ ৩টি বিশেষ শর্তে সুমন দম্পতিকে অভিভাবক মনোনীত করা হয়। তাদের ৪৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে টাকা জমা দেওয়াসহ ব্যাংকের যাবতীয় কাজ শেষ করার জন্য ।

রাজকুমারীকে পেতে জামালপুরের পারিবারিক আদালতে পৃথক ২টি মামলা দায়ের হয়। একটি মামলা দায়ের করেন বকশীগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা ব্যাংকার সামিউল হকের স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন রিপা। অপর মামলা দায়ের করেন বকশীগঞ্জ পৌর শহরের কামারপট্টি মোড়ের ভ্যান চালক সুমন মিয়া। উভয় বাদী রাজকুমারির অভিভাবকত্ব নেওয়ার জন্য মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, ২৯ মার্চ বকশীগঞ্জ শ্মশান ঘাটে কে বা কারা দুই দিন বয়সী নবজাতক এক কন্যা শিশুকে রেখে পালিয়ে যায়। কান্নাকাটির শব্দ শুনে প্রতিবেশী আছর আলীর স্ত্রী সন্ধ্যি বেগম শিশুটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে প্রাথমিক পরিচর্যা করেন। পরে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কুড়িয়ে পাওয়া ফুটফুটে নবজাতক শিশুটির নাম রাখা হয় রাজকুমারী।

এই নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর রাজকুমারীর সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন ভ্যানচালক থেকে উচ্চবিত্তের একাধিক ব্যক্তি ও পরিবার ।

এদিকে মামলায় বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় ব্যাংকার সামিউল হকের স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন রিপার পক্ষে সাক্ষ্য দেন । সুমন মিয়ার পক্ষে সাক্ষ্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জুমান, বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর ও মহিলা কাউন্সিলর রহিমা।

জামালপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট বাকী বিল্লাহ ও এডভোকেট ইসমাইল হোসেন সিরাজী মামলায় ফারহানা ইয়াসমিন রিপার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন । সুমন দম্পতির পক্ষে ছিলেন সাবেক পিপি মাহফুজুর রহমান মন্টু ও সিনিয়র এডভোকেট আনিসুজ্জামান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট