চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কবুতরের পায়ে বেঁধে ইয়াবা পাচার

অনলাইন ডেস্ক

২১ মে, ২০১৯ | ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ

ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের কারণে এবার মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল হিসেবে মাদক পাচারের নেমেছে। বিভিন্ন সময় নানা অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার করে মাদক ব্যবসায়ীরা। এবার নতুন কৌশল অবলম্বন করে কবুতর দিয়ে কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা।

সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা কারবারিরা কবুতর দিয়ে ইয়াবা পাচার করার বিষয়টি পুলিশের এক অনুসন্ধানে এমন তথ্য ওঠে এসেছে।  ইয়াবা পাচারের এই অভিনব উপায়ের তথ্য জেনে পুলিশও বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছে।

জানা যায়, কারবারিরা প্রশিক্ষিত কবুতরের পায়ে ইয়াবা বড়ি বেঁধে কক্সবাজার থেকে উড়িয়ে দেয়। আর ঢাকায় নির্ধারিত এলাকায় পৌঁছে যায় তা তিন থেকে চার দিনের মধ্যে। কেবল কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নয়, ঢাকাতেও চালান পাঠাতে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় বড়ি পাঠাতে কবুতর ব্যবহার করা হয়।

একেকটি কবুতরের দুই পায়ে সর্বোচ্চ ৫০ গ্রামের মতো করে ইয়াবা বড়ি নিয়ে আসা যায় বলে জানিয়েছেন এই পাচারে জড়িত একজন। একেকটি ইয়াবা বড়ির ওজন ০.১ থেকে ০.২ গ্রাম। এই হিসাবে ২৫০ থেকে ৫০০টি বড়ি বয়ে নিতে পারে একেকটি কবুতর।

ইয়াবা পাচারে ব্যবহার করা হয় গিরিবাজ নামে এক জাতের কবুতর। দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রেসার কবুতরে রূপ দেয়া হয় এই পাখিকে। এছাড়া প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার জন্য ব্যবহার করা হয় থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানের হুমা জাতের কবুতর।

ছয় মাস প্রশিক্ষণ দিলে এসব কবুতর এক থেকে দেড়শ’ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। দূরত্ব বাড়লে প্রশিক্ষণের সময়ও বাড়াতে হয় বলে জানানো হয়।

পুলিশ বলছে, কক্সবাজারের উখিয়ায় হোয়্যাইককং নামের স্থানে রেসার কবুতরের আধিক্য বেশি। তবে গত ছয় মাস আগেও এখানে কবুতরের আনাগোনা এখনকার চাইতে কম আছে। বর্তমানে হোয়্যাইককং থেকে ঢাকার উদ্দেশে কবুতর পাঠানো হয় বলে তথ্য মিলেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘কবুতর ব্যবহার করে ইয়াবা পাচারের এমন তথ্য আমাদের কাছে একেবারেই নতুন। ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং তদন্তে এর মধ্যেই একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট