চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশিদের জন্য খুলতে যাচ্ছে আমিরাতের ভিসা

জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি, ইউ এ ই প্রতিনিধি

২৯ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ

আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশিসহ সকল অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ তাদের অধিকার সুনিশ্চিতকরণ এবং আমিরাতে তাদের অবস্থান সুখকর করা। বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অত্যন্ত নিবিড় বন্ধন রয়েছে এবং দীর্ঘ ৮ বছর পর কিছু শর্ত সাপেক্ষে আমাদের সরকার ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটির জন্য তাদের জনশক্তি দুয়ার খুলে দিতে চায়। গত রবিবার স্থানীয় সময় বিকেলে দুবাইস্থ আল তাফহীম সার্ভিস সেন্টার অফিসে বাংলাদেশি মিডিয়া কর্মীদেরকে প্রেস ব্রিফিং করতে যেয়ে কথাগুলো বলেছেন আমিরাত সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মুয়ালাহ ও শেখ সাকর বিন মোহাম্মদ বিন হুমায়েদ আল নুয়েইমি। তাঁরা তাঁদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি আমিরাতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন কর্মীদের দেশের আইন কানুন সতর্কীকরণ, বাংলাদেশ থেকে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী নিয়োগসহ কয়েকটি শর্ত পূরণ করা গেলে, বন্ধ ভিসার দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিসিসি সেন্টার, তাফহিম সার্ভিস সেন্টার ও বাংলাদেশের ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামে সেবামূলক এইসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের আশ্বাস দেন দেশটির জিসিসি সেন্টারের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল-মুয়াল্লাহ ও তাফহিম সার্ভিস সেন্টারের চেয়ারম্যান শেখ সাকর বিন মোহাম্মদ বিন হুমাইদ আল-নুয়েইমী।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করতে ভিসা সমস্যার সমাধান করে, দেশ থেকে দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী প্রেরণের বিকল্প নেই বলে মনে করেন, তাফহিম সার্ভিস সেন্টারের পরিচালক। তাঁরা বলেন, আমিরাতে প্রতিটি কর্মীর মজুরী ওয়েজ প্রটেকশান সিস্টেম ও বীমা দ্বারা সুরক্ষিত। কোন কর্মদাতা কর্মীদের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে তাঁরা বেতন থেকে বঞ্চিত হন না। আমরা বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করব যাতে এখানে এসে কোন সমস্যায় পড়লে তারা তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন।

আমাদের প্রতিষ্ঠিত জিসিসি সেন্টার ন্যূনতম অভিবাসন ব্যয় নিশ্চিত করবে এবং তা তদারক করবে।আমরা বাংলাদেশি অভিবাসীদের দুই দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স একই জায়গায় করার ব্যবস্থা করব।”এ বছরের ২০ অক্টোবরে পর্দা উঠতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপোর। গত এক বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ব্যক্তিগত সফরসহ চারবার আমিরাত সফর করেছেন। ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে নিবিড় সম্পর্ক বিরাজ করছে। তারই পথ ধরে এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে আমিরাতে আবার বাংলাদেশের ভিসার দ্বার উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহল আশা করছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট