চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

তরুণদের প্রিয় মুখ ডিজে সুস্ময়

কমল দাশ

১৬ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:০৬ পূর্বাহ্ণ

বদলে যাওয়া সময়ের এক নতুন সংস্কৃতি ডিজে পার্টি। ডিজে শব্দের অর্থ হলো ডিস্ক জকি। একে আবার কেউ কেউ বলে ডিসকো জকি। বড় বড় অভিজাত হোটলেই কেবল সীমাবদ্ধ নয় ডিজে পার্টি, বাংলাদেশের নানা জায়গায় গড়ে উঠেছে ডিজে ক্লাব। বলে রাখা ভাল ডিজে ইংরেজি শব্দ। যার মূল অর্থ করলে দাঁড়ায় ডিস্ক জকি। ডিজে জিনিসটা কী এ ব্যাপারটা না জেনেই অনেকে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে থাকেন। একজন ব্যক্তি যখন তার সংগ্রহ দেশি-বিদেশি গান নিজের পছন্দমতো আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে অতিথির উদ্দেশে পরিবেশন করে তখন তাকে ডিজে বলা হয়। আর ওই গানের তালে তালে অতিথি তার মনের অনুভূতি নৃত্যের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে।

সুস্ময়ের জন্ম আর বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। মা-বাবার দুই সন্তাননের মধ্যে ছোট হওয়ায় আদর পেয়েছেন বেশ। মা সুপ্রিয়া দাশ গৃহিণী বাবা ব্যবসায়ী। বাসায় গান শোনার নিয়মিত চর্চা। ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে ইন্জিয়ার হবেন। এখন ইংরেজিতে অর্নাস পড়ছেন চট্টগ্রাম মহসিন কলেজে। ক্লাসের মেধাবীদের তালিকায় সব সময় ছিলেন সুস্ময় দাশ। বড় হয়ে তিনি হয়েছেন ডিস্ক জকি (ডিজে)। ছিল বলেই ধীরে ধীরে গানকে কেন্দ্র করে ভিন্নধারার এই পেশায় আসেন সুস্ময়। ছোটবেলা থেকে মিউজিক ভালোবাসতেন, সুস্ময় ডিজে রাহাতকে দেখেই ডিজেতে আসা। সেটা ভেবে ভেবেই তাঁর ডিস্ক জকির কাজ শেখা। ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্যে প্রচলিত পেশাকে এক পাশে রেখে এই জগতে পা রাখা। এখন দেশজুড়ে যার ডিজে সুস্ময় হিসাবেই নামেই হাঁক-ডাক।

চব্বিশ বছরের এই তরুণের ২০১৪ সালে প্রথম পেশাদার ডিজে হিসেবে মঞ্চে আগমন। প্রথম অনুষ্ঠান কুসুমকুমারি স্কুলে পূজাতে কাজটা করে সবার মন জয় করেন। তার ২০১২ টানা কয়েক মাস ডিজে পিয়ালের স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রশিক্ষণ নেন । এমন সময় তার আগমন ছিল, যখন দেশে ডিজে কাজ ছিল কঠিন এক বিষয়। শুরু দিকে সুস্ময় বলেন, আশপাশে কাজের পরিবেশ খুব সহজ ছিলো না। মানুষ সহজভাবে গ্রহণ করতো না। ‘এখন মানুষের ধারণা বদলেছে। বিভিন্ন অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, কনর্সাটের অর্ধেক আনন্দই আর নাচানাচি ডিজের ডিস্কের তালের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। যেকোনো অনুষ্ঠান মাতাতে ডিজেদের গুরুত্ব¡ দেওয়া হয়। মেধার গুরুত্ব¡ দিয়েই ডিজেরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন।’ এখন শুধু দেশেই নন, নিয়মিত বিদেশেও যান ডিজে হিসেবে। ডিজের কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা এই দুই ভুবনে থাকতেন চান সুস্ময়। জগৎটা বাংলাদেশে নতুন বলেই চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেই চ্যালেঞ্জটা ধীরে ধীরে ভাঙতে পেরেছি। ভাঙার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রিয় ডিজে মধ্যে রাহাত, প্রিন্স, ওয়াহেদ অন্যতম। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে এখন ব্যাপকভাবে আলোড়ন তুলেছে বিভিন্ন ডিজে পার্টিতে। শুধু টিনএজ নয় বিভিন্ন বয়সীদের কাছেও ডিজে পার্টি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর সেই ডিজে পার্টি শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন তা বাইরে ছড়িয়ে গেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট