উলফাত শাহীন। জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। উলফাত নামের অর্থ ভালোবাসা। নামের অর্থের মতোই মানুষটা একজন ভালোবাসার মত মানুষ। ব্যবহারিক জীবনে ফলিতসবিজ্ঞানের মানুষ হলেও কবিতার প্রতি একধরণের আসক্তি অনুভব করেন। পাশাপাশি মাঝে মধ্যে নাচও করতেন৷ কবিতা আবৃত্তির হাতে খড়ি ছোট বেলাতেই। মাঝে পড়াশোনায় ব্যস্ততার কারণে বিরতি পড়ে গেলেও বর্তমানে নিজের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল থেকেই বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তি করে ভক্তদের আনন্দ দিচ্ছেন। প্রিয় কবিতা, প্রিয় আবৃত্তিকারের ব্যাপারে জানতে চাইলে উলফাত জানান, ‘শখ থেকেই কবিতা আবৃত্তি করা। তাই প্রিয় কবিতা হিসেবে বিশেষ কোন কবিতা নেই। যে কবিতা পড়লে মন ছুঁয়ে যায়, সেই কবিতাকে নিজের মত করে আবৃত্তি করতে ভালোবাসি। প্রিয় আবৃত্তিকার কিনা জানি না তবে মুনমুন মুখার্জি ম্যামের আবৃত্তি মন ছুঁয়ে যায়’।
ব্যাক্তি জীবনে স্যার হুমায়ুন আহমেদের কাজকে খুব পছন্দ করলেও স্যারের গল্পের ফ্যান্টাসি নায়িকাদের মত হতে চান না উলফাত। সহজ স্বাভাবিকভাবে মানুষের জন্য কিছু করেই জীবন কাটাতে চান বলেই জানান এই তরুণ আবৃত্তিশিল্পী। সাধারণ বাঙালী রমণীর মত রাঁধতে এবং শাড়িতে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করেন উলফাত। সাথে হিজাবে নিজেকে জড়াতে একটু বেশিই পছন্দ করেন। প্রিয় শখের মধ্যে বই কালেকশনে রাখা আর ঘুরাঘুরি। গান শুনে, বই পড়ে কিংবা বারান্দায় গাছ নিয়ে অবসর কাটে উলফাত’র। টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ, বর্ষায় ব্যাঙ এর ডাক, শুকনো পাতার উপর হাঁটার শব্দ, পাখির কিচিরমিচির, সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন কিংবা কোন শব্দই না হওয়া শুনশান নিস্তব্ধতা এসব কিছুর প্রতি এক ধরণের ফ্যাসিনেশন অনুভব করেন তিনি।
তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উলফাত বলেন, আপাতত এই পেন্ডামিকের অবসানের অপেক্ষা। অদূর ভবিষ্যতে আমার বিষয় পুর প্রকৌশল নিয়ে কাজ করবো। পাশাপাশি আবৃত্তি করে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
এখনকার যুবসমাজের লকডাউন সময় কাটানো নিয়ে বলেন, ‘সত্যি বলতে সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে। আমরা যারা তরুণ, তাদের বেশির ভাগই বাহিরে যেতে অভ্যস্ত। সেক্ষেত্রে লকডাউন অনেক বেশি প্রভাব ফেলছে যুব সমাজের উপর। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন অনলাইনে টাইম কাটাচ্ছে। ফলে ভালো খারাপ সবই গ্রহণ করছে। এক্ষেত্রে আমরা তরুণরা সংস্কৃতি চর্চা করতে পারি। যেমন বই পড়া, উপন্যাস, কবিতা, লিখালিখির চেষ্টা করা বা ঘর গুছানো, ফ্যামিলির সাথে সময় ব্যায় করা এসব করা যেতে পারে। এতে মন ফ্রেশ থাকবে এবং মানসিক প্রশান্তিও মিলবে বলে আমি মনে করি’।