চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

মুনশী ইকবাল’র গ্রামবাংলার ঐতিহ্য

মোহাম্মদ অংকন

১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের প্রায় সফল এবং ধনী মানুষের মধ্যে একটি জায়গায় দারুণ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তা হল- তারা বই পড়েন। ওয়ারেন বাফেট একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি দিনের শতকরা আশিভাগ সময় বই পড়ে ব্যয় করেন, প্রতিদিন প্রায় পাঁচশ পাতা পড়েন। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকার বার্গ বছরে পঞ্চাশের অধিক বই পড়ে থাকেন। বিশ্ববরেণ্য কোটিপতিদের সাফল্যের পেছনে তাদের পড়া বিভিন্ন বইয়ের অবদান কোনো অংশে কম নয়। পাঠকদের বই পড়ার দারুণ আগ্রহ বোধ থেকে লেখকরা প্রতিনিয়ত বই লিখছেন। শুধু বইমেলা উপলক্ষ্য নয়, সারা বছরই কমবেশি বই প্রকাশ হচ্ছে। মৌসুমী লেখকদের আড়াল থেকে বেরিয়ে সেপ্টেম্বর (২০১৯) মাসে বই প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক মুনশী ইকবাল। তিনি বই লিখেছেন গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস,ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে। বইটির নামকরণ করেছেন- ‘গ্রামবাংলারঐতিহ্য’।

লেখক মুনশী ইকবাল মূলত একজন সাংবাদিক। এর বাইরে তিনি একজন কবি। লেখক সময় পেলেই বেরিয়ে যান মাঠে প্রান্তের। চলে যান পাহাড়, নদী আর বন-বনানীর কাছে। ঘুরে বেড়ান জনপদ থেকে জনপদে, কথা বলেন সাধারণ মানুষের সাথে। রিপোর্টিংয়ের বাইরে তাঁর লেখালেখির মূল রসদ আসে এখান থেকেই। ‘গ্রামবাংলার ঐতিহ্য’ বইটির মূল উপাদান তাঁর এই ঘুরে বেড়ানো থেকে নেওয়া। তিনি বইটিতে শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে সহজভাবে তুলে এনেছেন হারিয়ে যাওয়া সেইসব ঐতিহ্যের কথা যা কিছুদিন আগেও আমাদের চোখে পড়তো। ‘গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য’ বইটি পালকি, ঢেঁকি, হুক্কা, গ্রামোফোন, গরুর গাড়ি, হ্যাজাক বাতি, চিঠি, কাঠের লাঙল, নৌকা বাইচ, মাটির পাত্র নিয়ে লেখা তথ্যনির্ভর প্রবন্ধ দিয়ে সাজিয়েছেন। এসব জিনিসপত্র আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু কিভাবে এসব আজ বিলুপ্তির পথে, তা বইটি পাঠের মাধ্যমে জানা সম্ভব।

‘গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য’ বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন সত্তরের দশকের খ্যাতনামা কবি ও সাংবাদিক নিজাম উদ্দীন সালেহ। প্রচ্ছদ করেছেন খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক, ডিজাইনার ও প্রকাশক আহমেদ ফারুক। ‘শ্রীহট্ট’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আশি পৃষ্ঠার বইটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র দু’শত টাকা। প্রকাশনীর প্রদর্শনী উপলক্ষে বিশেষ ছাড়ে ৪০% কমিশনে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রকমারি ডটকম থেকেও বইটি সংগ্রহ করা যাবে। আমি বইটি পাঠ করেছি। ভীষণ ভালো লেগেছে। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যচর্চা ও রক্ষায় এ ধরণের বইয়ের বিকল্প নেই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট