চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আমার প্রিয় বাবা ধ্বনিবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই

গত সংখ্যার পর

হাসিন জাহান

২২ নভেম্বর, ২০১৯ | ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বাবার দূরদর্শিতা ছিল যথেষ্ট। তিনি বুঝতেন কাকে দিয়ে বিভাগের কী কাজ হবে। কী হলে ছাত্র তৈরি হবে, মেধাবী ছাত্ররা এগিয়ে আসতে পারবে। সেই সব ছাত্র ভবিষ্যতে দেশের সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনগুলিতে ভাষার শুদ্ধ চর্চার প্রসার ঘটাবে, সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশে সহায়ক হয়ে উঠবে। তারা বিভিন্ন সরকারি চাকুরিতে বাংলার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করবে। এভাবে বাংলা ভাষার উন্নতি হবে। বাবা দেশকে খুবই ভালবাসতেন। করাচী বিশ^বিদ্যালয়ে তাঁকে রিডার পোস্টে প্রমোশন দিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি ঢাকায় ঐ পোস্ট পেতে দেরী হবে জেনেও যান নি। তিনি ইচ্ছে করলে লন্ডনেও থেকে যেতে পারতেন, কিন্তু তা তিনি করেন নি। তাঁর ব্রত ছিল শিক্ষকতা করা এবং দেশ গড়া। ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকার কলম্বিয়ার মিযৌরি বিশ^বিদ্যালয়েও ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার আগে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। বাবা আম্মাকে বললেন, সরকার একাডেমির দায়িত্ব দিতে চাচ্ছে। আম্মা জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি করবে? তিনি উত্তরে বলেছিলেন, “আমি শিক্ষক, শিক্ষকতা ছেড়ে কোথায় যাবোা? আমার বাংলা বিভাগ, আমার ছাত্রদের আরও দেবার আছে আমার।” এইভাবে লোভনীয় কোনও পোস্টের আহ্বানেই তিনি বিশ^বিদ্যালয় ছেড়ে যান নি কোথাও।

বাবা বাংলা বিভাগে গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করেছিলেন। শিক্ষকদের এবং মেধাবী ছাত্রদেরও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি। সে সময় তাঁরই সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় বিভাগীয় গবেষণা পত্রিকা ‘সাহিত্য পত্রিকা’ (১৩৬৪/১৯৫৭) অসাধারণভাবে প্রশংসিত হয় এবং এতে ভারতের এবং দেশের নানা বিশ^বিদ্যালয়ের এবং নানা বিষয়ের গবেষকগণ তাঁদের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। এটিই ছিল বাবার একটি বিরাট অবদান। তাঁর তত্ত্বাবধানে যেমর অনেকে পিএইচ.ডি. করেছেন, তেমনি আরও অনেকে তাঁর দ্বারা উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধও হয়েছেন গবেষণাধর্মী কাজে।

পাকিস্তানী সরকারের নজর ছিল বাবার উপর এবং কাজে কাজেই বাবার বিভাগের সকল কাজ-কর্মের উপর।

বিশেষ করে করে বাংলা বিভাগের পঠন-পাঠনের উপর। এরই ফলে মধ্যযুগের সাহিত্যর বিষয়ে এলো নিষেধাজ্ঞা, কেননা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, চ-ীমঙ্গল, বৈষ্ণব সাহিত্য প্রভৃতি হিন্দু ধর্মের বিষয় ভিত্তিক পাঠ বন্ধ করে দিতে চাইলো পাক-সরকার। এ নিয়ে বহুবার বাবাকে তারা তলব করে নিয়ে কথা শুনিয়েছে। সরাসরিভাবে বলেছে হিন্দুদের সাহিত্য মুসলিম তাহজিব-তমদ্দুনের খেলাপি, এ সব কিছুই পাঠ্য করা চলবে না। সেই সাথে রবীন্দ্র-সংগীতও বন্ধ করতে চাইলো। বাবা পাঠ্য বইগুলোর বিষয়বস্তু ঠিক রেখে শুধু নামের এমন পরিবদল ঘটালেন, যেমন বড়–চ-ীদাসের কাব্য, মধ্যযুগের গীতিকাব্য ইত্যাদি। তিনি এইভাবে সেদিন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মান রক্ষা করেছিলেন।

১৯৬৩ সালে বাংলা বিভাগ থেকে ‘ভাষা ও সাহিত্য’ সপ্তাহ নামে ৭দিন ব্যাপী এক অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করে ছিলেন। অনুষ্ঠানটি ছাত্র-শিক্ষকের সম্মিলনে ও পারস্পরিক সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। এটি হয়ে উঠেছিল বাঙালির সাংস্কৃতিক চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক পরিকল্পনা স্বরূপ। এতে হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যের ক্রম বিকাশের ধারাবাহিকতা তুলে ধরা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, নীলিমা ইব্রাহিমসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকগণেরও সক্রিয় অংশ গ্রহণ ছিল। সমকালে এটি যেমন সর্বমহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, তেমনি সংবাদ মাধ্যমগুলিতেও এর নানা প্রশংসা কীর্তিত হয়েছিল। সাধারণের ধারণা, এটি ছিল তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে একটি নীরব প্রতিবাদ। সাত দিনব্যাপী সর্বস্তরের মানুষের কাছেই তা উপভোগ্য হয়েছিল।

এ সব ছাড়াও বিভাগের অভ্যন্তরে গতানুগতিক কর্মানুবৃত্তির ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন এনে ছিলেন বাবা। তিনি বিভাগকে আপন পরিবারের মত দেখতেন এবং তাঁর সব চেয়ে ভালবাসতেন তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের। তাদের পরস্পরের মধ্যে এবং ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা সহজ সম্পর্কের ভাব গড়ে তোলার জন্যে তিনি বিভাগে নতুন নিয়ম চালু করেন। এরই ফলে বিভাগে শীতকালীন বনভোজনের প্রচলন হয়। এতে শিক্ষকদের পরিবার এবং বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে শেষ বর্ষের সকল ছাত্র-ছাত্রী যোগ দিতে পারতো। অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকগণও আমন্ত্রিত হতেন। প্রতি বছর এক এক জায়গায় আয়োজন করা হতো এই বনভোজনের। যেমন, করটিয়া, শ্রীপুর, রাজেন্দ্রপুর বা জয়দেবপুর প্রভৃতি স্থানে ঘুরে ঘুরে যাওয়া হতো এক এক বছর। বাবার সাথে আমরা কয়েক বোন মিলে এই আনন্দ-ভ্রমণ ও ভোজন-যাত্রায় গিয়েছি একাধিক বার। আমি তখন স্কুলে পড়ি। আমারও খুব ভাল লাগতো, ছাত্রীরা সবাই আমাদের খুব আদর করতো। ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে রান্না করতো, মাঝে মধ্যে শিক্ষকরাও হাত লাগাতেন। বাসে করেই সব সরঞ্জাম নেওয়া হতো। দুপুরের খাওয়া শেষে বিকেলের পড়ন্ত বেলায় ছাত্র-ছাত্রীরা গান-বাজনার আয়োজন করতো। প্রিয় শিক্ষকদের নিয়ে হাস্য-কৌতুক করতেও ছাড়তো না। একবার শেষ বর্ষের ছাত্ররা গানের সুরে সুরে বাবাকে নিয়ে কৌতুক গান বানিয়েছিল,- ‘ও, মু. আবদুল হাই, আমাদের ফাস্ট ক্লাশ দিয়ে দাও, আমরা ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাই। ও, মু. আবদুল হাই।’ এই গান শুনে সব শিক্ষক এমন কি বাবা নিজেও অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিলেন। পরবর্তি কালে এই বনভোজনের রীতি অন্যান্য বিভাগেও চালু হয়।

মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও যে কোনও ছাত্র-ছাত্রী আর্থিক অনটনে পড়ে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়লে তিনি বা অন্য রকম সমস্যায় পড়েছে জানতে পারলে, বাবা তাদের অকুণ্ঠভাবে সাহায্য করতেন। এছাড়া চাকুরি পেতেও তাদের সাহায্য করতে দেখেছি। একবার এক ছাত্র এসে বাবাকে বললে, ‘স্যার, আমার আর পড়া হবে না। আমার থাকা-খাওয়ার খুব সমস্যা, আমি গ্রামে ফিরে যাচ্ছি।’ বাবা তাকে আমাদের গ্যারেজের উপরে থাকার জায়গায় তাকে একটা রুমে থাকার ব্যবস্থা করলেন এবং বাসা থেকে নিয়মিত খাবার পাঠাবারও বন্দোবস্ত করে দিলেন।

আমি বাংলা বিভাগেই ভর্তি হয়েছিলাম এবং বাবার ছাত্রী ছিলাম, এটা আমার গর্ব। তিনি ধ্বনিবিজ্ঞান পড়াতেন এবং রবীন্দ্রনাথের ক্লাসটাও নিতেন। ক্লাশকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন। বাবা প্রতি দিনের ক্লাসের পাঠ বাসায় ঝালাই করে যেতেন। প্রচুর পড়াশোনা করে, মানে বেশ প্রস্তুতি নিয়েই যেতেন তিনি ক্লাসে। একদিন বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “আচ্ছা বাবা, আপনার তো সবই জানা বিষয়, তাহলে ক্লাস নেবার আগে এত পড়েন কেন?” তিনি উত্তরে বলেছিলেন, “জানার তো শেষ নেই মা, আমাকে দেখতে হবে আমার জানা বিষয়টা কতটুকু ছাত্ররা গ্রহণ করতে পারছে।”
ব্যক্তিগত জীবনে বাবা খুবই সাধারণ ছিলেন। খাওয়া-দাওয়া বা পোষাক-আসাকে কোনও বিলাসিতা তাঁর ছিল না। বিশ^বিদ্যালয়ে বেশির ভাগ সময়ই হাফ সার্ট পরতেন তিনি। শীত কালে স্যুট এবং সভাসমিতিতে গেলে আচকান-পায়জামা পরতেন।

বাবার ‘তোষামোদ ও রাজনীতির ভাষা’ বইয়ের একটি প্রবন্ধের নাম ছিল ‘সামনের মাস’। এটি তিনি গল্পাকারে লিখেছিলেন। আমার মনে হয় এ লেখাটি তাঁর জীবনেরই প্রতিফলন বা প্রতিচ্ছায়া। কারণ, আমরা সংসারে ৭ ভাইবোন। আমাদের লেখাপড়ার খরচ এবং সংসারের ব্যায় বাবার বেতনে কুলাতো না। তাঁকে নির্ভর করতে হতো পরীক্ষার খাতা দেখা এবং লেখালেখি প্রভৃতি উপরি আয়ের উপর। সে সময় লেখার সম্মানী ছিল খুবই সামান্য। তাই তিনি বাজেট করে চলতেন। আমি দেখেছি মাসের ১লা তারিখে বাবা তাঁর বিছানায় আসন করে বসে কোলে একটা বালিশ রেখে কাগজ কলম নিয়ে বসতেন। আম্মা সামনে বসে কোন কোন খাতে কত টাকা লাগবে বলতেন। এই ভাবে বাজেট করে চলতেন। যে খরচ এ মাসে করা সম্ভব হবে না বলে মনে করতেন, সেটা সামনের মাসে খরচের জন্য লিখে রাখতেন। ঐ গ্রন্থের ‘সামনে মাস’ কথাটার মধ্যে মধ্যবিত্ত সংসারের সেই চিত্রটাই যেন তিনি তুলে ধরেছেন।

‘বিলেতে সাড়ে সাত শ দিন’ বইটি বাবার ভ্রমণ কাহিনী হিসাবেই গণ্য। আজ থেকে তিন কুড়ি বছরেরও আগে ঘটেছিল তার কাহিনী; বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৫৮-তে। বাবা যখন বিলেতে (), তখন লন্ডন শহর এবং পাশ্চাত্যের সভ্যতা, ব্রিটিশদের আচার আচরণ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে বাবা চিঠি পাঠাতেন আম্মাকে। আমরা তখন ৩ ভাই বোন, সবাই তখন ছোট। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য করেও বাবা চিঠি লিখতেন। পরে দেশে ফিরে এই চিঠিগুলি ভিত্তি করেই বইটা লেখেন তিনি। আমার মনে হয় লন্ডনের সভ্যতা শতবর্ষ শেষেও খুব একটা পরিবর্তন হয় নি। বইটি সে সময়ে ইন্টারমেডিয়েটে পাঠ্য হয়েছিল। বাবার স্বপ্ন ছিল আগামী প্রজন্মের সাথে পাশ্চাত্য সভ্যতার পরিচয় করিয়ে দেওয়া। বইটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। আজও এর মূল্য কমে নি।
১৯৬৯ সালের ৩রা জুন তাঁর মৃত্যু ঘটে। সে সময় সকল গণমাধ্যমে নানা ভাবে এসেছিল বিষয়টি। আমরা তখন খুবই অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। চারিদিক থেকে বিভ্রান্তিকর সব খবর আসছিল। বাংলা বিভাগও ছিল নিশ্চুপ। উনসত্তরের গণ আন্দোলনের উন্মাদনায় দেশের পরিস্থিতিও ছিল অন্য রকম। বাবার শত্রুও কম ছিল না। বিপদের আভাস পেয়ে তিনি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের সাহায্য চেয়েছিলেন। কোনও রকম সাহায্য বা আশ^াসও পাওয়া যায় নি কারও কাছ থেকে। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘দুই যাত্রায় এক যাত্রী’ বইটির দ্বিতীয় খন্ডের ৬৪ পৃষ্ঠার উদ্ধৃতি থেকে বোঝা যাবে, ‘রাষ্ট্র উন্নতির ধারাপ্রবাহ করেছিল, সেই প্রবাহের সঙ্গে যাঁরা তাল রাখতে পারত না, তারা ছিটকে পড়ত। যেমন অধ্যাপক আবদুল হাই পড়েছিলেন। সব চেয়ে বড় কথা ওই রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা মানুষকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। হাই সাহেবের আসল ঘাতক ঐ বিচ্ছিন্নতা।’

তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস পর আমার আম্মা আমার মেজ বোন খুরশীদ জাহানকে সাথে নিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি (উপাচার্য) ড. ওসমান গণির সাথে গিয়ে দেখা করে জানতে চেয়েছিলেন, বিভাগের টাকাপয়সার কোনো ঘাটতি ছিল কিনা। ওসমান গণি সাহেব খুবই ব্যথিত হৃদয়ে আম্মাকে বলেছিলেন, ‘আপনি নিশ্চন্ত থাকুন, বিভাগের অর্থের কোনা গোলমাল ছিল না। উনার মত সৎ, বিশ^াসী, দেশপ্রেমি একজন গুণী শিক্ষককে বিশ^বিদ্যালয় হারিয়েছে। আর কোনো শিক্ষককে যেন এ ভাবে না হারাতে হয় সে জন্য কিছু নিয়মের বদল করতে হবে।’ কি নিয়ম বদলাতে হবে সে কথা তিনি সেদিন আম্মাকে বলেন নি। পরে দেখলাম বিভাগীয় অধ্যক্ষ পদের নিয়ম পরিবর্তন করা হলো। এই পদে যাতে সকল শিক্ষকই সুযোগ পায়, সেই নিয়ম হলো, এটা হলো একজনের জীবনের করুণ পরিণতির বিনিময়ে।

বাংলা একাডেমি থেকে ধ্বনিবিজ্ঞান বইটি যখন প্রথম প্রকাশ পায়, তখন আমরা বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে ৩৪/বি নং, কোয়ার্টারে থাকি। বাবা বইটা হাতে নিয়ে কেমন যেন একটা প্রশান্তি বোধ করলেন। বইটি নাড়াচাড়া করতে করতে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “জানিসরে মা, আমি এই বইটির মাঝে বেঁচে থাকবো।” তখন বুঝিনি।

আজ তিনি নেই, কিন্তু বাবা বেঁচে থাকবেন তাঁর ‘ধ্বনিবিজ্ঞান’ বইটির মধ্য দিয়ে, তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্য দিয়ে, পঞ্চাশ দশকের বাংলা বিভাগের স্বর্ণযুগের মধ্য দিয়ে, তাঁর ‘সাহিত্য পত্রিকা’র মধ্য দিয়ে এবং তাঁর হাতে গড়া প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য দিয়ে। সমাপ্ত

শেয়ার করুন