চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এস এম সোলায়মানের নাটকে গানের ব্যবহার

মোকাদ্দেম মোরশেদ

৪ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

এস এম সোলায়মান নাট্যশিল্পের একজন কিংবদন্তী। বাংলাদেশে নাট্যচর্চায় এক অগ্রপথিক, নাটকে সঙ্গীত ব্যবহারের অন্যতম পথ-প্রদর্শক। এস এম সোলায়মান এর প্রয়াণ ঘটে এই সেপ্টেম্বরেই ২২ তারিখ ২০০১, তার জন্মও এই সেপ্টেম্বরেই ২৯ তারিখ ১৯৫৩।

একুশে পদকপ্রাপ্ত ক্ষণজন্মা সোলায়মান শৈশবেই সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট হন, তখন থেকেই তার কণ্ঠে সুর বেজে উঠত, পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, সক্রিয় রাজনীতি, তারপর থিয়েটারকেই আঁকড়ে রইলেন জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত।
এস এম সোলায়মানের নাটকে গানের ব্যবহার একটি মুখ্য উপাদান হিসেবে যথাযথ স্থান দখল করে নিয়েছে। যেহেতু তিনি নিজেই নাট্যকার, গীতিকার সুরকার গায়েন অভিনেতা ছিলেন এবং নির্দেশকতো বটেই তাই তার রচনার উপস্থাপনায় এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠ্য উঠে এসেছে। এ যেন ঝুসনড়ষ ড়ভ াবৎংধঃরষরঃু. তিনি তাৎক্ষণিক গান লিখে সুর করে গেয়ে দিতে পারতেন এবং তা মূল বিষয় বস্তু থেকে কখনো আলাদা তো নয়ই বরং যথাপযুক্তই মনে হয়েছে। তার এই সৃষ্টিশিলতার পিছনে রয়েছে অবশ্যই দর্শন, বস্তুবাদের দর্শন; যা সমাজের কথা বলে মানুষের কথা বলে বিজ্ঞানের কথা বলে। জন্মমাত্রই মানুষ ধর্মনীতির স্বীকার, রাষ্ট্রনীতির স্বীকার, কখনো চিন্তার অনুকূলে কখনো বা প্রতিকূলে। এ দ্বান্দিকতার মাঝখানে উৎসরিত চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে এস এম সোলায়মানের নাটকে এবং নাটকের গানে।

ব্যক্তি বা চরিত্রকে কাল ও সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি পরিবেশের মধ্য দিয়ে বিশেষ এক পরিণামে নিয়ে যাওয়ায় যেমন নাটকীয়তা আছে তেমনি গান ও সুর সংযোজনায় বিশেষ রস পরিণাম সৃষ্টি করে দর্শকের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বা তীব্রতা বোধ লক্ষ্যণীয়। এস এম সোলায়মান সংলাপ ও সুরসহ সংলাপ এর এক মিশেল তৈরিতে সক্ষম ছিলেন । চরিত্রের ব্যাকরণের সাথে সঙ্গীতের অপূর্ব সমন্বয় দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে মোহে যা গল্প হতে বিচ্যূতি ঘটতে দেয় না ।
এস এম সোলায়মানের সৃষ্টিশীল জীবনে শুধু মঞ্চের জন্য মৌলিক নাটক লিখেছেন তেরটি আর রূপান্তরিত নাটক আঠারোটি। আটচল্লিশ বছরের জীবনে নাট্যকর্ম ছিল একত্রিশটি। কি দুরন্ত, কি বেগবান ছিল এই নাট্যাক্রান্ত এস এম সোলায়মান।
তার নাটকে গান অন্যরকম আবহ সৃষ্টি করে যেমন, নাটক ‘কোর্টমার্শাল’ সংলাপের পর সংলাপ তারই মধ্যে শেষ দৃশ্যে সুধীর লাল এর মধুর আমার মায়ের হাসি গানটির সংযোজন; মাথায় সঙ্গীত না থাকলে ধুম করে এই রকম যথার্থ সংযোজন আসে না। সঙ্গীত সংলাপের সমন্বিত প্রয়াসে ক্ষুরধার হয়ে ওঠে প্রযোজনাটি।

পথ নাটক ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাচাল’, পথে ঘাটে এ মোড়ে সে মোড়ে উম্মুক্ত জায়গায় নাটকটি প্রদর্শিত হয়। রাস্তার উপরে বা বটতলার নিচে। এতে তো লজ্জার কিছু নাই, এসব দর্শক তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের দর্শক নয় নিতান্তই রাস্তায় হেঁটে চলা, বাড়ি ফেরত অফিস ফেরৎ সাধারণ মানুষ। তাইতো নাটকটি শুরু করার আগেই কোরাস দল গেয়ে উঠে-
‘মরি হায়রে হায় লজ্জার কিছু নাই
পথে ঘাটে নাটক করি নতুন দর্শক চাই।’
প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গেয়ে যায়, “তোমার কাছে বন্ধুক কামান নাটক আমার কাছে”। ক্ষ্যাপা পাগলা চিৎকার করে ওঠে, দালালের দল মর হায়েনার দল মর। রাজাকারের দল মর, ঐ ঐ জাগে পদ্মার বুকে চর। তারপরই মুকুন্দ দাশ এর গানের কোরাস।
‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।’
“এলেকশন ক্যারিকেচার” এ নেত্রীর মুখের গান যা নির্বাচন পরিস্থিতির একটা চিত্র তুলে ধরেন-
‘ওস্তাদ আমার রফিক উদ্দিন মাস্টার হলেন কেষ্ঠ
সাতশো পৃষ্ঠায় লেখা আছে ভোটের ম্যানিফেস্ট
ভোট যুদ্ধে যদি এবার জিতে যেতে পারি
বিমান বোঝাই পাউন্ড আসবে ডলার কাড়ি কাড়ি।’
কিংবা জনতার মুখে গাইয়েছেন-
‘রহিম, ছলিম, কলিমুদ্দি আমরা তিন ভাই
ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখি ঢোকার রাস্তা নাই
অজানা এক পরম সুহৃদ মোদের দুঃখ দেখে
ছাপ মেরেছেন ইচ্ছেমত আমরা আসার আগে।’
দুর্দান্ত প্রহসন, অবহমান ভোটযুদ্ধের দলিল যেন গানের কথায় বেরিয়ে আসে। “ইংগীত“ নাটকে বেশ কিছু গানের ব্যবহার হয়েছে যা আসলে এস এম সোলায়মানের ক্ষোভের প্রতিফলন, ক্ষোভ আমলাতন্ত্রের প্রতি ক্ষোভ সিস্টেমের প্রতি। শোনা যায় “ইংগীত” যখন মঞ্চস্থ হচ্ছিল চারদিকে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল ব্যাঙ্গাত্মক সংলাপের সাথে সাথে সুঁই ফোটানো সংগীত; চূড়ান্ত প্রহসনের ইঙ্গীত দিয়ে গেল আমলাতান্ত্রিক অদ্ভুত সিস্টেমের।
‘সিস্টেম তোর পায়ে পড়ি
বল না তোরে
কোন কারিগর বানাইছে
সিস্টেম তোর পায়ে পড়ি
সচিব যখন বিদেশ ঘুরে
উপসচিব লন্ডন ট্যুরে
মুখ্য সচিব জার্মানিতে
সেমিনারে লাফাইতেছে।’
তদন্ত কমিশনের বেহাল অবস্থায় কোরাস দল গেয়ে ওঠে-
‘হায়রে ছুটিয়া চলিল মোদের তদন্ত কমিশন
ঢাক ঢোল পিটাইয়া তারা করে আয়োজন।’
ফাইল এ টেবিল থেকে সে টেবিল ঘুরে বেড়াচ্ছ তা নিয়ে লিখলেন-
‘হায়রে ছুটিয়া চলিছে ফাইল রথখোলা দিয়া
ধোলাই খাল ঘুইরা সোজা যাবে কুতুবদিয়া
কুতুবদিয়া পার হইয়া ছাগল নাইয়া ঘুরে
ফিরিয়া আসিবে ফাইল সোজা পঞ্চগড়ে।’
আহা বুকে কত সাহষ থাকলে সরকারি আমলাদের দিকে এভাবে আঙুল তুলে কথাগুলো বলা যায়, প্রহসন করা যায়। নিঃসন্দেহে এ সাহস সত্যের, এ সাহস ন্যায়ের, তাইতো সুরে সুরে ভেসে আসে-
‘ভাঙ্গরে গলদের গোড়া
একবার সাহস করে দাড়া
কইরে সিস্টেম টাকে খোঁড়া
একাত্তরের যোদ্ধারা তোরা
একবার সাহস করে দাড়া।’
গম্ভীরা গানে নানা নাতির গল্পে বুনন হয় “এই দেশে এই বেশে” নাটকে, উঠে আসে নানা অসংগতি-
‘নামে ঢাকা কাজে ফাঁকা আজব এই শহরে
আমরা নানা নাতি ঘুরি বিহা করার মোহেরে।’
আর দৃশ্যমান হয় বাঙালি চেতনার প্রকার ভেদ-
‘কেমন বাঙ্গালী চেতনা বুঝাও নানা আমারে
বাংলায় কেন ইরানী বিরানী আর খোমেনীরে নানা হে।’
তেমনি কটাক্ষও রয়েছে ধর্মান্ধ মৌলবাদীর দিকে-
‘ছোড়া পরে ছুড়ির বোরখা
ছুড়ি হেসে আটখানা
‘ছোড়া কহে কেঁদে কেঁদে
আখেরি এ জামানা হে নানা’
আর মৌলবাদের হুংকার নারি স্বাধীনতার বিপক্ষে-
‘যখন পরবে দোররা
বুঝবে তখন জেনানা
কোথায় রবে স্বাধীনতা
পালাবার পথ পাবেনা হে নানা।’
সার্বিক অবস্থার খ-চিত্র ভেসে উঠে “এই দেশে এই বেশে” নাটকে সাথে সঙ্গীত যোজন পরিবেশনাটিকে করে তুলেছে যথার্থ অর্থবহ ।
এস এম সোলায়মানের নাটকে গানের সংযোজন দর্শকের জন্য রিলিফ নয় বরং এ যেন এক বন্ধন, সেতুর বন্ধন দর্শক আর অভিনেতাদের গল্পের মধ্যে। এক পরিপূর্ন ভ্রমণ, ভাব ব্যক্তর এক সৃজনশীল কৌশল। আরোপতি কিছু নয় বরং গল্পের প্রয়োজনেই এসেছে গান যা স্বস্তিদায়ক দর্শনও বটে। নাট্যরীতির বিবর্তনে সহজবোধ্য উপলব্ধির এক পাটাতনে দাড়িয়ে চমৎকার সংযোগ ঘটে দর্শকের সাথে।

এক রক্ষণশীল শহরে বেড়ে ওঠা শৈশব কৈশর পার করা সোলায়মান এর মননে বোধ করি সর্বদা প্রতিকূলতাই কাজ করেছে। সময় একটা বড় ছাপ ফেলে গেছে তার চিন্তা জগতে । এখানে একটু বলতে চাই প্রায় ত্রিশ বছর আগের ঘটনা, থিয়েটারে সবে মাত্র যোগ দিয়েছি আমি; সোলায়মান ভাই কে সামনা সামনি তখনই প্রথম দেখি তখনই প্রথম সাক্ষাৎ প্রথম দর্শন। চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির চত্তরে মহড়া কক্ষের সামনে ( পুরাতন স্থাপনা, বর্তমানে নতুন স্থাপনা করা হয়েছে)। কাগজের টুকরায় কি যেন লিখে চলছেন আর মুখে বিড়বিড় করছেন আমার কৌতূহল ভরা চাহনি তার দিকে, চোখাচোখি হল তিনি মৃদু হাসলেন আবার লিখে চললেন, হয়ত তখন তিনি লিখে চলছেন-
‘রাজা গেল রাজা গেল, লোটাকম্বল লইয়া
কান্দিতে কান্দিতে বনে
রাজার মাথায় কাঠাল ভাঙ্গে সেনাপতি
জানে না রাজা তার কি হবে গতি।’
অথবা, ‘জিকির কর বাবার নামে জিকির কর মুরিদগণ
‘আপদ বালাই যাবে কেটে ধর্মে কর্মে দেহ মন
রাজনীতি আর ধর্মনীতির মাঝে কোন ফারাক নাই
মরলে শহিদ বাঁচলে গাজী জেহাদে পড় ঝাপাই।’
কিংবা,
‘বাবা দুলদুল পড়ে আছি অন্ধকারে
তুমি নাওগো পিঠে তব সওয়ার করে।’
‘‘ঘোড়া এল শহরে” নাটক ( প্রযোজনাটি করেছিল চট্রগ্রামের গণায়ন নাট্য সমপ্রদায়) এর গান। আমার তরুণ মনে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেল, কি সাহষ ! কি সাহষ ! স্বৈরাচার সরকারের দিকে আঙুল প্রদর্শন। নাট্যকর্মীদের মুখে মুখে এই গান তখন, কি এক যোশ ! গান তো নয় যেন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শাণিত অস্ত্র, অস্ত্রই বটে। এস এম সোলায়মানের অস্ত্র তার লেখা। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের নাট্যচর্চায়, নাট্যক্রিয়ায় এস এম সোলায়মানের নাটকে বাংলাদেশের দর্শক এক নতুন নাট্যধারার পরিচয় পেল। নাটকের সাথে সঙ্গীত লাইভ মিউজিক কোরিওগ্রাফিসহ এক অনবদ্য পরিবেশনা। কাউকে কাউকে বলতে শুনি সোলায়মানকে সময় সাপোর্ট করেছে। কেউতো সময়ের উর্ধ্বে নয়। সময়কে নিয়েই যে চলতে পারে সেইতো আধুনিক। এস এম সোলায়মান বেশির ভাগ নাটকই লিখেছেন নধংবফ ড়হ পঁৎৎবহঃ ংরঃঁধঃরড়হ. চলমান ঘটনা নিয়ে যা একেবারেই পড়হঃবসঢ়ড়ৎধৎু. যে সময় যা বলা দরকার তা তিনি বলেছেন, গেয়েছেন, করে দেখিয়েছেন। সময়টাকে ধারণ করতে পারাটাই মুখ্য। নাটক কিন্তু সময়ের স্বাক্ষী কালের স্বাক্ষী সোলায়মান তার লেখায় কালের চিহ্ন রাখতে কার্পণ্য করেননি। বিশেষ করে যখন তা গীতল ধারায় আরো অর্থবহ হয়ে ওঠে।
‘আয় খানদানের বংশধর
ওয়ার ফিল্ডে ঝাপায়া পড়
জাতের কুল মান রক্ষা কর
লেফট রাইট।
‘‘খানদানি কিস্সায়” খান্দানের তরজমা, সাথে আছে কটাক্ষ-
‘আইয়ে আইয়ে আইয়ে খানাদানি তানজাম
পহেলা মুঝেকো শুনিয়ে দাদাজান
একঠো পাকিস্তানি জবান।’
তার কিছু নাটকে বন্দনা গীতের ব্যবহারও দেখা যায়। মূলত মঙ্গল কাব্যে বন্দনার আভাষ পাওয়া যায়। যেখানে দেবতার আরাধনা মহাত্ম্য-কীর্তন করা হয়। বন্দনা গীত হল সম্মানিতের অর্চনা এবং সোলায়মান তার রচনাতেও কোন ফাঁক রাখেননি। বিশেষ করে লোকজ আঙ্গিকের নাটকগুলোতে নাটক শুরুর প্রাক্কালে বন্দনা দিয়ে শুরু করা হয়েছে ।
‘পরথমে বন্দনা করি শ্রীগুরুরর চরণ
কৃপা করি দিলা গুরু মন্ত্র মহাধন
এই দেহ ছিল আমার পাষাণ সম
মন্ত্র দিয়া কৈল্লা গুরু ফুলের বাগান।’
চট্রগ্রামের লোক কাহিনী নছর মালুম ও ভেলুয়া সুন্দরী অবলম্বনে ‘‘আমিনা সুন্দরী”র বন্দনা সঙ্গীত। আবার ময়মনসিংহ গীতিকার ‘‘দেওয়ান ভাবনা” অবলম্বনে ‘‘সুনাই কইন্যার পালা “তেও বন্দনা গীতের ব্যবহার হয়েছে।
‘পূবেতে বন্দনা করলাম পুবের ভানুস্বর
একদিকে উদয়রে ভানু চৌদিকে পশর
দক্ষিনে বন্দনা করলাম ক্ষির নদী সাগর
যেখানে বাণিজ্য করে সওদাগর।

কিবা গান গাইবাম আমি বন্দনা করি ইতি
মনো দিয়া শুনেন সবে সুনাই কইন্যার গীতি
দশ বছরের সুনাইগো ইরাবতী জ¦লে
হাসিয়া খেলিয়া চলে ধরনীর স্থলে।’
বন্দনা গীতের সাথে শরীরের ব্যবহারও এতে লক্ষ্যণীয় যেমন উতকুটিক, অঞ্জলি কিংবা পঞ্চাঙ্গ বন্দনা ।
“বার্থ ফ্যান্টাসী”-তেও বন্দনা গীত দেয়া হয়েছে ।
‘প্রথমে বন্দনা আমার সৃষ্টির সেরা জীব
তারপর বন্দনা জাতীর পিতা শেখ মুজিব
তারপর বন্দনা আমার রক্তের বন্যায়
এই আসরে সকল হত্যার বিচার আমি চাই।’
“জনম দুঃখী মা” নাটকে রাজাকার আলবদরের স্বরুপ উন্মোচিত হয়েছে এভাবে-
‘রাজাকারের বেটা আমি, মুক্তিযোদ্ধা ধর
জয় বাংলা বলে যারা , তাদের জবাই কর
ওরে মুক্তিযোদ্ধা ধর ওরে কাফের জবাই কর
খোদার নামে মানুষ মারি, আমরা আলবদর।’
এস এম সোলায়মান বোধ হয় সময়ের আগেই ধূপ-লোবান গোলাপ জলের গন্ধ পেয়েছিলেন, না হলে লিখলেন কি ভাবে-
‘মায়ার সাগর পাড়ি দিয়ে মিশেছি মাটির কোলে
আপন মাঝে ডুব দেব বলে
আমি মেঘের পালক ছুঁয়ে তারার স্বপ্ন দেখেছি
অন্ধাকারে বসে আলোর ছবি একেছি।’
আপন মাঝেই ডুব দিলেন এস এম সোলায়মান, উনি বেঁচে থাকুক প্রতিটি নাটকে প্রতিটি মঞ্চে।

শেয়ার করুন