চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বঙ্গবন্ধুর নজরুল ত্রিশালে নজরুল বিশ^বিদ্যালয়

এম আনোয়ার হোসেন

৩০ আগস্ট, ২০১৯ | ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

নজরুল আমার,নজরুল আমাদের। নজরুল এ দেশের, নজরুল এ পার ও পার বাংলার। নজরুল বাংলা ভাষাভাষীর,নজরুল সকলের। বিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে ভারতীয় উপমহাদেশে সাহিত্য জগতে তার আর্বিভাব ছিল অনেকটা ধুমকেতুর মত। তিনি সাহিত্য জগতকে যেমন আলোড়িত করেছেন ঠিক তেমনি সাহিত্য প্রেমিকরাও তাতে পাগলপারা হয়েছেন। সমসাময়িককালে কবিকে ভালবাসতেন এ পার বাংলা কিংবা ও পার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী। তাদের মধ্যে কিশোর কালে দুখুমিয়াকে বেশি ভালবেসেছিলেন এ পার বাংলার ত্রিশালের কাজী রফিউজউল্লাহ। কবির ছোটকালের ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ভালবেসেছিলেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতির বিশেষ ভালবাসা ও বিশেষ উদ্যোগে কবিকে সদ্য স্বাধীন প্রাপ্ত রাষ্ট্র বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ২৪ মে ১৯৭২ সালে কবিকে স্বপরিবারে এ দেশে এনে নাগরিকত্ব দেয়া হয়। তাতে করে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় থেকে ভারতীয় এবং ভারতীয় থেকে বাংলাদেশী জাতীয়তা লাভ করেন। কবি বাংলাদেশের জাতীয় কবির আসনও অলংকৃত করেন। কবিকে আমাদের দেশে পাওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা কোন ভাবেই অস্বীকার করা যায় না। কিশোর অসহায় নজরুলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন যেমন ত্রিশালের কাজী রফিউজল্লাহ তেমনি অসহায়,বৃদ্ধ,অসুস্থ কবিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সম্মান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কবি আজ আমাদের মাঝে নেই। অথচ তার কর্ম কিংবা স্মৃতি আমাদের জীবনের পরতে পরতে উজ্জীবিত। কবির স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশালে তথা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কবির স্মৃতিতে নজরুল একাডেমি, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ও শিশু সংগঠন বাংলাদেশ নজরুল সেনা স্থাপিত হয়। বাংলাদেশে সরকারীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গবেষনা প্রতিষ্ঠান নজরুল ইন্সটিটিউট। আর এটি হল আমাদের ধ্যানে-জ্ঞানে, স্মরণে-আবরনে কবিকে চর্চা করার একটি প্রয়াস।

কবির শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালে গড়ে উঠা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয় ইতিমধ্যে দেশের এক স্বনামধন্য বিশ^বিদ্যালয়ে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে রয়েছে ফ্যাকাল্টি অব আর্টস,ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাকাল্টি অব শোস্যাল সায়েন্স, ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন। ২০০৫ সালে ১ মার্চে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলেও ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ দুটি অনুষদের কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়। ২০০৭ সালে ৩ জুন প্রথম ব্যাচের ক্লাস শুরু হয়। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান ছিলেন প্রথম উপাচার্য। প্রথম ব্যাচে কলা অনুষদের অধীনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ১৮৫ জন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করে এ বিশ^বিদ্যালয়। এর ইতিহাসে দেখা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংষ্কৃতিক ফোরম ১৯৯০ সালে থেকে বেসরকারী খাতে ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ড.আশরাফ সিদ্দিকীকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিঠি বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য অর্থদাতা ও জমিদাতা সংগ্রহ করে। তাতে নজরুল প্রেমিরা অংশগ্রহন করে। এ ভাবে বিশ^বিদ্যালয়টি গড়ে উঠেছিল সে সময়। বিশ^বিদ্যালয়টি একটি বিশ^মানের প্রতিষ্ঠানে পরিনত করার প্রয়াসে এগিয়ে চলছে। গেল কবির ১২০ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে এ বিশ^বিদ্যালয়্রে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।

১৯১৩ সাল। বাংলা সাহিত্যের জন্য এ সালটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। কেননা এ বছরেই কবি গুরু তার গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেলে ভুষিত হলেন। তাতে করে কবি গুরু বিশ^ দরবারে বিশ^ কবির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হলেন। তাই এ সালটি ছিল গোটা বিশে^ বাংলা সাহিত্যের বিজয়ের বছর। বিশ^ কবি যখন বিশ^ সাহিত্যে দরবারে উ”চ আসনে আসীন, তখন কিশোর নজরুল রুটির দোকানে কাজ নিয়ে আছেন। এ সময় কিশোর নজরুলের কষ্ঠ দেখে বৃটিশ পুলিশের দারোগার হৃদয়ে দাগ কাটে। দারোগা কাজী রফিউজউল্লাহ নজরুলকে সুদুর আসানসোল থেকে এ পার বাংলায় নিজের গ্রামে ত্রিশালে নিয়ে আসেন। ফলে কিশোর কবি ময়মনসিংহের ত্রিশাল, কাজির সিমলা, দরিরামপুর, শুকনি বিলের নামপাড়ায় অব¯ি’ত বটতলা,বিচুতিয়া ব্যাপারীর বাড়ী ইত্যাদি স্থান বিচরণ করেন।

এক সময় কিশোর নজরুল রুটির দোকানে কাজ করে। তখন ত্রিশালের কাজীর সিমলা গ্রামের অধিবাসী দারোগা সাহেব চাকুরীসুত্রে ভারতের বর্ধমানে ছিলেন। দুখুমিয়া রুটির দোকানে কাজ সেরে রাতে দারোগা সাহেবের বাসার বারান্দায় ঘুমাতো। দুখুমিয়ার চোখে মুখে তখনই সুপ্ত প্রতিভার ছাপ দেখে দারোগা সাহেব নববধুর পরামর্শক্রমে কিশোর নজরুলকে ত্রিশালে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি ছিল ১৯১৩ বা ১৯১৪ সালের দিকের। যখন বিশ^কবি রবী ঠাকুরের পতাকা উড়ছে বিশ^ সাহিত্য দরবারে পত পত করে। দারোগা সাহেব কাজীর সিমলায় তার গ্রামের বাড়ী থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দুরে দরিরামপুর ইংলিশ হাই স্কুলে ( বর্তমানে নজরুল একাডেমি) সপ্তম শ্রেনীতে দুখুমিয়াকে ভর্তি করে দেন। কাজির সিমলা থেকে দরিরামপুর স্কুলের অবস্থান দুরবর্তী হওয়ায় স্কুলের পাশাপাশি বিচুতিয়া ব্যাপারীর বাড়ি জায়গীর ঠিক করে দেন। বিচুতিয়া ব্যাপারীর বাড়ি থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের বটতলার পাশ দিয়ে যাতায়াতের সড়কটি তখন আইলের মত দুপায়া রাস্তা ছিল। রাস্তাটি শুকনি বিলের মাঝখান দিয়ে বটতলা হয়ে ত্রিশাল বাজারে গিয়ে পৌঁছে। কিশোর নজরুল স্কুলে যাতায়াতের সময় কিংবা অন্য সময় এ বটতলায় বসে বাঁশি বাজাত। পরবর্তীতে এ শুকনি বিলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কবির নামে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়’। বিচুতিয়া ব্যাপারীর বাড়ী বিষয়টি আবিষ্কার করেন তদানীন্তন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি এ নাজির ১৯৬৪ বা ৬৫ সালের দিকে। এ বিষয়ে ত্রিশালের নজরুল গবেষক এবং এ বিশ^বিদ্যালয়ের ‘ ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ’-র সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রাশেদুল আনাম তাঁর গবেষনালব্ধ ‘নজরুল জীবনের ত্রিশাল অধ্যায়’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তথ্যসূত্র- ‘ত্রিশালে নজরুল এবং রফিজউল্লাহ দারোগা প্রসঙ্গ’,ড. মো.হুমায়ুন কবীর, দৈনিক ভোরের কাগজ,তাং-২৯ মে ২০১৫ইং। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয় বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলায় কবির কৈশোর জীবনের স¥ৃতি বিজড়িত নামাপাড়ার বটতলায় অবস্থিত। প্রতি বছর কবি নজরুলের জয়ন্তীতে বিশ^বিদ্যালয় কিংবা ত্রিশালবাসী ঈদ আনন্দে মেতে উঠে। এটি সার্বজনীন উৎসবে পরিনত হয়েছে সেখানে।

ত্রিশাল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল এখন আমাদের ধ্যানে-জ্ঞানে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে ত্রিশাল সাহিত্য জগতকে নাড়া দিয়েছে নিঃসন্দেহে বলা যায়। নজরুল বিষয়ে ত্রিশাল নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে,হচ্ছে এবং হবে তাও নিশ্চিত করে বলা যায়। এ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বারবার উঠে আসে। তা হল, কবি কবে ত্রিশালে আসেন, কত দিন ত্রিশালে অবস্থান করেছেন, কেন তিনি চলে গেলেন, আবার কেন তিনি ত্রিশালে ফিরলেন না। অনেক স্থানে তিনি কয়েকবারও গেছেন কিন্তু ত্রিশালে তিনি জীবনেও কেন আর পা রাখলেন না। স্বাভাবিক ভাবে এ সব বিষয় ভাবায়। এ সব বিষয়ে গবেষণা হয়। এ সব বিষয় নিয়ে সাহিত্যিক ড. মোহিত উল আলম-র একটি গবেষণা বেশ নজর কাড়ে। নজরুলের ত্রিশাল শিরোনামে তার এ গবেষনায় দেশের এবং বিদেশের বরন্য নজরুল গবেষকগনের মত প্রার্থক্য উদ্ধৃত হয়েছে। কিন্ত ত্রিশালে নজরুলের আগমন কিংবা প্রস্থান নিয়ে তিনিও অন্যান্যদের মত সঠিক সন তারিখের কথা উল্লেখ করেন নি। কেউ বলেছেন ত্রিশালে নজরুলের আগমন ঘটে ১৯১৩ সালে আবার কেউ বলেছেন ১৯১৪ সালের কথা। এভাবে কবির ত্রিশাল ত্যাগের সময় নিয়েও মত প্রার্থক্য দেখা যায়। তাতেও কেউ বলেছেন ১৯১৪ সালের ডিসেম্বর আবার কেউ বলেছেন ১৯১৫ সালের ডিসেম্বরের কথা। তবে এ বিষয়ে তিনি নজরুলের সাথে সে সময় ত্রিশালে সাক্ষাৎ হওয়া বরন্য সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদ এবং সাহিত্যিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনের তথ্য- প্রসঙ্গ এনেছেন। তারা দুজনেই ত্রিশালের ধানীখোলার সন্তান ছিলেন।

কবি যেখানেই যান না কেন তিনি এ পার বাংলাকে কখনও ভুলেননি। কোন না কোন ভাবেই তিনি এ পার বাংলাকে হৃদয়ে পুষেছেন। কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনকে ১ মার্চ ১৯২৮ সালে কৃঞ্চনগর থেকে নজরুল লিখেছেন,- “ তোমার অভিমান তপ্ত চিঠি আমার যে কী ভাল লাগছে তা আর কী বলবো। কতবারই না পড়লাম-যেন প্রিয়ার মিষ্টি চিঠি ! ভাগ্যিস তুমি মেয়ে হয়ে জন্মাওনি-নৈলে এবার তোমায়ই ভালবেসে ফেলতাম ঢাকা গিয়ে।” ( সুত্র: নজরুলের পত্রাবলী ও প্রাসঙ্গিক কথা, তৌহিন হাসান, পৃষ্ঠা-১৬১, নজরুল ইন্সটিটিউট পত্রিকা, নজরুল জন্মশতবর্ষ সংখ্যা। ) নজরুল বরাবরের মতই ঢাকা কিংবা এ পার বাংলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ১৯২২ সালে কবিকে এ পার বাংলার কুমিল্লা থেকেই গ্রেপ্তার করে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়। কবি এ বাংলায় বারবার এসেছেন। এসেছেন ত্রিশাল কিংবা সন্দ্বীপ, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে। এসেছিলেন দৌলতপুর অথবা বারবার কুমিল্লায়। কুমিল্লার দুলি ( দ্র.০৯) কবির জীবনেরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমনকি জীবনের অন্তিম সময়গুলোতেও তিনি এ বাংলায় ছিলেন। তিনি ছিলেন সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি,ভালবাসার কবি,জাগরনের কবি, মেল বন্ধনের কবি, চির বিদ্রোহী কবি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, তিনি ১৯৪২ সাল থেকে নির্বাক হয়ে যান। মাত্র ২২-২৩ বছরের তার স্বজ্ঞানে সাহিত্য জগতে বিচরন যেন সাহিত্যকে তিনিই বিশ^ দরবারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। তাই তার সাহিত্যে নোবেলের দরকার ছিল না। এমন কি মরনোত্তরও না। কারণ সাহিত্য চর্চা তিনি করেন নি। সাহিত্যই তাকে চর্চা করেছে। সাহিত্যই তাকে জেল জুলুম খাটিয়েছে। সাহিত্যই দুখু মিয়াকে চির দুখী করেছে। সাধারণ পরিবারে জন্ম নেয়া কবি সাধারণ ভাবেই কাজ কর্ম করে জীবিকা নির্বাহের প্রয়াসে ব্রতী ছিলেন। কিন্তু দুঃখ,সাহিত্য তার পিঁছু ছাড়েনি। এমন মানুষটির জীবন আর সৃষ্টিশীল কর্ম পাঠ করলে মাথা ঠিক রাখা দায় হয়ে যায়। সেকি অসীম সাহস আর প্রতিভা। তার প্রতিভাই ছিল যেন শ্রাবণের অঝোর ধারা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেয়া কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ – ১৯৭৬ খ্রি.) ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি,সঙ্গীতজ্ঞ,নাট্যকার,সাংবাদিক,সম্পাদক,ঔপন্যাসিক,দার্শনিক। কবিকে গবেষনার জন্য ত্রিশালের মত চট্টগ্রামেও সরকারী উদ্যোগে গবেষনাগার,বিশ^বিদ্যালয় গড়ে তোলা প্রয়োজন রয়েছে। এসব পেয়ে যেন আমরাও আনন্দিত হতে পারি। কবির ভাষায়,- “ আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে/ মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে/ আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।/ আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্ললে!/ বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার-ভাঙ্গ কল্লোলে/ আসল হাসি আসল কাঁদন/ মুক্তি এলো,/ আসল বাঁধন/ মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।/ ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে-/ আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে..।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট