চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কবিতার বরপুত্র আল মাহমুদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

পূর্বকোণ ডেস্ক

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১২:১৫ অপরাহ্ণ

আল মাহমুদ (জন্ম : ১১ জুলাই ১৯৩৬, মৃত্যু : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তাঁর সাড়া জাগানো ‘সোনালি কাবিন’ কাব্যগ্রন্থের একটি সনেটে বলেছেন, ‘ছলনা জানি না বলে আর কোন ব্যবসা শিখিনি।’ তিনি শুধুমাত্র কবি নন, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার শিশুসাহিত্যিক এবং পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাকভঙ্গিতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন।
১৯৫০ সালে যে ক’জন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লেখালেখি করেছেন তাদের মধ্যে আল মাহমুদ অন্যতম। ‘লোক লোকান্তর’ (১৯৬৩), ‘কালের কলস’ (১৯৬৬), ‘সোনালি কাবিন’ (১৯৭৩) ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে তিনি ভারত গমন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পর কবি দৈনিক গণকণ্ঠ নামক পত্রিকায় প্রতিষ্ঠা-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘কবি ও কোলাহল’।
তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার নগরকেন্দ্রিক প্রেক্ষাপটের বিপরীতে ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ আবহ, নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের জীবনপ্রবাহ এবং নরনারীর চিরন্তন প্রেম-বিরহকে তাঁর কবিতায় অবলম্বন করেন।
১৯৬৮ সালে ‘লোক লোকান্তর’ ও ‘কালের কলস’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার সবচেয়ে সাড়া জাগানো সাহিত্যকর্ম সোনালি কাবিন। ১৯৭০ সালের শেষার্ধে তার কবিতায় বিশ্ব¯্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস উৎকীর্ণ হতে থাকে; এর জন্য তিনি প্রগতিশীলদের সমালোচনার মুখোমুখি হন। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা কবিতার বরপুত্র মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট