আমি সেই গোধূলি বেলার আলো,
কৃত্রিম সুতোয় আঁকা পথের কল্পনা বেসেছি ভালো।
আমি সেই রাঙা ফুলের সুবাস,
একান্ত কোনো গল্প হওয়ার দোটানায় বসবাস।
আমি নদীতট জুড়ে খেলে যাওয়া ঢেউ,
হাজারও নৌকো; গলুই তলে ঘোমটা টানা কেউ।
আমি সহসা বাতাসে লেখকের উষ্ণ আলিঙ্গন,
কবি হয়ে ওঠা এই সকাশে শিমুলের অঙ্গন।
আমি বসন্ত আনয়ন করা শীতল কণ্ঠে গান,
মৃদুমন্দ সমীরণ আর বাতায়নের আহ্বান।
আমি রোমাঞ্চিত হয়ে গগনচুম্বী চন্দ্রনাথ,
সীতা পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা তুলোর মতো আর্তনাদ।
আমি ঘণ্টা ধরে চুম্বনে কারে বানিয়েছি বিপ্লবী,
বীরকে কতটাই বা পেয়েছি অসহায় এ কবি!
আমি কাটা পাহাড়ি, ঢালু রাস্তায় নীলচে শাড়িতে,
সাথে গোড়ালি তোলা প্যান্টে হাঁটে পা, নয়তো গাড়িতে!
কখনোবা আমি চশমার আড়ালে স্বপ্নের আঁড়চোখে,
জয় বাংলার পাদদেশটা লালচে সূর্য ঢাকে!
কখনোবা আমার মনের চোখ কাঁচা-পাকা দাড়ির ফাঁকে,
অপরাজেয় বাংলা এখানে এসেছে হাতছানি দিয়ে ডাকে!
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়