চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

গরিবের ঈদ খরচের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব

রায়হান আজাদ 

১১ মে, ২০২১ | ১২:০১ অপরাহ্ণ

‘ছাদাকাতুল ফিত্র’ একটি ইসলামী পরিভাষা। ইহা দুটি শব্দের সমষ্টি: তথা ‘ছাদাকাহ’ ও ‘আল-ফিত্র’। ‘ছাদাকা’ অর্থাৎ দান যা একজন অধিক সামর্থ্যবান ব্যক্তি কোন অভাবী দরিদ্রকে প্রদান করে থাকেন। ‘আল-ফিত্র’ অর্থাৎ রোজা ভঙ্গ করা। অতএব ‘ছাদাকাতুল ফিত্র’ অর্থ হচ্ছে এমন এক ছাদাকা যা একজন রোজাদার রমজান মাসে সিয়ামের নির্দেশ পালন করার পর ১ শাওয়াল তারিখে যেদিন প্রথম রোজা রাখা বন্ধ করে সেদিন দান করে থাকে। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশে পুণ্যের উদ্দেশ্যে যে বাধ্যতামূলক বা ঐচ্ছিক ‘দান’ সম্পাদন করা হয়, তাই ছাদাকা। এ ছাদাকাটি আমাদের দেশে ‘ফিত্রাহ’ নামে পরিচিত।

ইসলামে ফিতরা‘র বহু গুরুত্ব রয়েছে। ফিত্রা গরিবের হক। ঈদুল ফিতর উদযাপনের খরচ যোগানোর জন্য এটি আল্লাহ পাকের তরফ থেকে গরিবের প্রতি এক বিশেষ অনুগ্রহ। এছাড়া ফিতরা’র আরো একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, রমজানের রোজা রাখতে গিয়ে আমাদের যে সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে যায়  তার প্রতিবিধান করা। এ প্রসঙ্গে হযরত ইবনে ‘আব্বাস (রা.) বর্ণিত হাদীসের উদ্ধৃতি দেয়া যায়। তিনি বলেছেন: আল্লাহর রাসুল (সা:) ছাদাকাতুল ফিতর বাধ্যতামূলক করেছেন।

রোজাদারের রোজাকে বাজে ও অশ্লীল কথার ত্রুটি বিধানকল্পে ও ফকির-মিসকিনদের আহার্যের ব্যবস্থাকরণের উদ্দেশ্যেই- (আবু দাউদ, ইবন মাজা)। ঈদের  দিন সকালে যদি কোন ব্যক্তি সাড়ে সাত তোলা সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মালিক হয় অথবা সমপরিমাণ অন্যান্য  সম্পদের অধিকারী হয় তাহলে তার উপর ফিতরা দেয়া ওয়াজিব। যার ফিতরা সে কিংবা পরিবারের পক্ষ থেকে যে কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে।

ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে কিংবা আরো কয়েকদিন আগে আদায় করা উত্তম। তবে পরে আদায় করলেও আদায় হয়ে যাবে। ফিতরা যথাযথভাবে আদায় না করলে বান্দাকে গুনাহগার হতে হবে।

এ বছর সারা দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ব্যক্তির আর্থিক সংগতি অনুসারে জনপ্রতি সর্ব নিম্ন ৭০ টাকা আর সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা ফিতরা ধার্য করেছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেমেয়েদের পক্ষ থেকেও তার বাবা মা কিংবা অভিভাবকদের ফিতরা দিতে হবে। পিতামাতা, পুত্র-কন্যা, নাতি-নাতনী ও স্বামী-স্ত্রী ছাড়া সমাজের ফকির-মিসকিনদেরকেই এ ফিতরা প্রদান করতে হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট