চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

যাকাত নামাজ-রোজার মতোই ফরজ ইবাদত

রায়হান আজাদ 

৫ মে, ২০২১ | ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

মাহে রমজান ইবাদতের মওসুম। এ মাসে ফজিলত, বরকত, ও রহমতে ভরপুর মুমিনের হৃদয়-মন ছাওয়াবের ফোয়ারায় জেগে ওঠে। রোজা ও যাকাত দুটি পর্যায় ক্রমিক ফরজ। ২য় হিজরিতে রোজা ফরজ হওয়ার পর পরই শাওয়াল মাসে জাকাত ফরজ হয়। ইসলামে যাকাত নামক অর্থনৈতিক ইবাদতের বহু হুকম-আহকাম রয়েছে। কুরআন ও হাদিসে যে পদ্ধতি অনুসরণ করে যাকাত আদায় করার জন্য বলা হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন না করলে এ ফরজ আদায় হবে না।

সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ আর সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য এক বছর পর্যন্ত গচ্ছিত থাকলেই ব্যক্তির নিসাব পূর্ণ হয়। টাকার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য অথবা এর বাজার মূল্যকে নিসাব হিসেবে গণ্য করা হয়। যাকাত প্রদানের হার হচ্ছে গচ্ছিত সম্পদের ২.৫%।  আমাদের দেশে দেখা যায়, বহু লোক হিসাব-নিকাশ না করে গরীব প্রতিবেশীকে কিংবা মাদরাসা-মসজিদে কিছু দান ছাদাকাহ করেই জাকাত আদায়কারী সাজতে তৎপর হয়ে ওঠে। আর অনেকে দিনক্ষণ ঠিক করে ডাক ঢোল পিটিয়ে অপরিকল্পিতভাবে গরীবদের মাঝে টাকা-পয়সা ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করে, তাতে অসহায় ভিক্ষুুক-ফকিররা ঠেলাঠেলিতে পড়ে মারা যাবার ঘটনাও ঘটে। এ রকম পরিস্থিতির অবতারণা করা শরীয়ত সম্মত নয়।

জাকাতের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কেবল দারিদ্র্য বিমোচন নয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন এবং সম্পদের ভারসাম্য বিধান। সম্পদে কম বেশি করে কিংবা কোন ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিয়ে যদি যথাযথভাবে যাকাত আদায় করা না হয় তাহলে তার সমুদয় সম্পদ অপবিত্র হয়ে যাবে, পতিত হবে ধ্বংসের মুখে। নবী করিম (সা.) যাকাত আদায়ের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, “আল্লাহ পাক যাকে ধন-সম্পদ দিয়েছেন সে যদি যাকাত আদায় না করে তাহলে কিয়ামতের দিন তা একটি বিষধর অজগর সাপের রূপ ধারণ করবে, যার দু’চোখের উপর দুটি কালো চিহ্ন থাকবে। বলবে, আমিই তোমার ধন-মাল, আমিই তোমার সঞ্চয়।”

আল্লাহ পাক আমাদেরকে ইসলামের অপরিহার্য বিধান যাকাত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত অধ্যয়নপূর্বক চুলচেরা হিসাব করে সম্পদের যাকাত দেয়ার তৌফিক দান করুন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট