চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সৃষ্টি থেকেই রোজা ফরজ

রায়হান আজাদ 

১৬ এপ্রিল, ২০২১ | ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

আল কুরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের বাণী, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদর প্রতি সিয়াম ফরজ করা হয়েছে যেভাবে ফরজ করা হয় তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর; যেন তোমরা তাকওয়া তথা খোদভীতির পথ অনুসরণ করতে পারো’- (সুরা বাকারা, আয়াত ঃ ১৮৩)। আল কুরআনের এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায়, সিয়াম মুসলমানদের উপর ঐতিহ্যগতভাবে ফরজ।

তাফসীরে মা‘আরেফুল কুরআনে আছে, আল কুরআনের উদ্ধৃতি- ওয়াল্লাযিনা মিন কাবলিকুম- ‘যারা তোমাদের পূর্বে ছিল’ কথাটি ব্যাপক অর্থবোধক। এর দ্বারা হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হযরত ঈসা (আ.) পর্যন্ত সকল উম্মত এবং শরীয়তকেই বুঝায়।

এতে বুঝা যায়, নামাজের ইবাদত থেকে যেমন কোন উম্মত বা শরীয়ত খালি ছিল না, তেমনি রোজাও সবার জন্য ফরজ। আয়াতের মধ্যে শুধু বলা হয়েছে যে, রোজা যেমন মুসলমানদের উপর ফরজ করা হয়েছে তেমনি পূর্ববর্তী উম্মতগণের উপরও ফরজ করা হয়।

এ সম্পর্কে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার লেখক সুন্দর তথ্য দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘রোজা কালচার ভেদে অনেকটা পৃথক কিন্তু এমন কোন ধর্মের নাম পাওয়া যায় না যেখানে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মোটামুটিভাবে রোজাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। হযরত আদম (আ.) উপর প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের তিনটি রোজা ফরজ ছিল। হযরত মুসা (আ.) এর উম্মতের উপর আশুরা এবং সপ্তাহের রোজা ছাড়াও আরো ক’দিন রোজা ফরজ ছিল। হযরত মু’আজ বিন জবল (রা.) হতে বর্ণিত, ‘হযরত নূহ (আ.) থেকে হুজুর (সা.) পূর্ব যুগ পর্যন্ত আশুরা এবং প্রতি মাসে তিনটি রোজা নির্ধারিত ছিল। রমজান মাসে রোজা রাখার হকুম আসলে এ বিধান মানছুখ (রহিত) হয়ে যায়’।

সুতরাং  মাহে রমজানের ঐতিহ্য, মর্যাদা ও মহিমা রক্ষার্থে আমাদের সবাইকে দৃঢ় বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সাথে রোজা পালন করতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদেরকে সে তৌফিক দান করুন। আমিন ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট