চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাঠকের অনুভূতি : ফেইসবুক

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে /
আমি চাই কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক/
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য /
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত। কবি নির্মেলেন্দু গুণের কবিতার লাইনগুলোয় মানুষের মনে মানুষের প্রতি ভালোবাসার অভাববোধ কিভাবে মানুষকে দুমড়ে মুচড়ে দেয় তার প্রমাণ মেলে। মানুষ কখনো ভালোবাসাহীন হয়ে বাঁচতে পারে না। মানুষ আর পশুর মধ্যে তফাৎ এখানেই।
মানুষের ভেতরে লুকানো সুন্দর মন। সেই মনের কারণেই মান- জ্ঞান- হুঁশ নিয়ে মানুষের যাপিত জীবন। ভালোবাসতে গিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে অমর অনেক নাম। বিচিত্র তাদের ভালোবাসার ধরণ। সময়ের সাথে সাথে মানুষের মন বদলায়। সেই সাথে বদলে যায় মানুষের ভালোবাসার ধরণ। প্রযুক্তির যুগে ভালোবাসার রঙিন খাম ঢুকে যায় মেসেঞ্জার, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটস্অ্যাপে। ফুল এখন তাজা বা বাসি হয় না কারণ কাগজের ফুলে চলে ভালোবাসা নিবেদন। যেখানে ফুল হারিয়েছে তার নিজস্ব গন্ধ। মমতার জাল ছড়িয়ে মানুষকে মানুষ ভালোবাসতে ভুলে গেছে। তারা রোবটের মতো চলতে শেখে। তাই তারা আকাশের চাঁদ দেখে খুশি হয় কিন্তু জোৎন্সাবিলাসে নাক সিটকায়। নদীর ঢেউ দেখে তাদের মন প্রফুল্ল হয় কিন্তু নদীর বিশালতা তাদের ছুঁতে পারে না। তারা সবুজ প্রকৃতির সন্তান হতে পারে কিন্তু সেই প্রকৃতির থেকে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলেও তার পরিচয় দিতে কুন্ঠাবোধ করে।
সেলফি আদলে ভালোবাসার পরিমাপ করতে গিয়ে তাদের আচরণে লজ্জিত আজ ভালোবাসা। তারা ভালোবাসাকে ভালোবাসতে ভুলে গেছে। তার জন্য কে দায়ী আমি তার মুন্ডুপাত করতে আসিনি। আমি চাই মানুষ তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করুক তবে সেই নিয়ন্ত্রণ যাতে ভালোবাসাকে রক্তাক্ত না করে। প্রেয়সীর চুলের খোঁপায় মানুষ গুঁজে দিক রক্ত রঙের তাজা গোলাপ। রঙিন খামে ভালোবাসার চিঠি আসুক। যদি কোন অকালে তাঁরা খসে পড়ে তার রঙিন চিঠির স্মৃতি বুকে আঁকড়ে ধরে মানুষ বাঁচুক। প্রতিটি হাত বন্ধুর হোক। মানুষকে মানুষ যেন ভয় না পায়। প্রতিটি সীমানার দেওয়ালে একরাশ ঘৃণা বির্সজন দিয়ে পৃথিবীটা হোক ভালোবাসাময়। ভালোবাসাকে ভালোবাসতে শিখুক মানুষ।
রাজীব রাহুল
দিদার মার্কেট, চট্টগ্রাম

বছর কয়েক আগের গল্প, ফাল্গুনের প্রথম সপ্তাহ। ক্লাসের প্রথম ঘন্টায় যখন তাকে দেখি তখন কেমন যেন একটা চৌম্বকীয় আকর্ষণ বোধ হয়েছিল। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সেদিন কিছু বলিনি, শুধু একবার চোখের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে ফেলেছিলাম। এক সপ্তাহ পর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। প্রথম দিন তার গাম্ভীর্যের কাছে হার মানলেও কিছু সময়ের মধ্যে তাকে বুঝিয়েছিলাম একটি ভালো সম্পর্ক দাড় করাতে আমি তার যোগ্য। আমাদের পথচলা এভাবে শুরু। কত রাত কেটে গেছে হাসি আর কান্নার মধ্য দিয়ে। বাস্তবতার দোহাই দিয়ে কেউ কখনো কাওকে ন্যূনতম অবহেলা করিনি। আমার বহু প্রতিকূল মুহূর্তে সে আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছে তার কোন হিসেব নেই। জীবনে ছন্দপতনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও আমাদের নিখাদ ভালোবাসা তা আগলে রেখেছে। দেখতে দেখতে চারটা বসন্ত পার হয়ে গেছে আমাদের মধুর সম্পর্কের। সামনে আরো একটি বসন্ত একসাথে পার করার সময় এসেছে। শুধুমাত্র বিশ্বাস, নিরন্তর ভালবাসা এবং দুজনের দায়িত্ববোধের ফলে আজ চার শেষে পাঁচে আমরা পদার্পণ করতে যাচ্ছি। সারাটা জীবন এভাবে একসাথে কাটাতে চাই। প্রিয়, তোমাকে ‘ভালোবাসি’ কথাটা আবারো বলে ফেললাম এই স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে। পাঠকদের দোয়া এবং ভালোবাসা চাই।
আকরাম হোসেন রানা
কণর্ফুলী, চট্টগ্রাম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট