চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ভিন্ন রকম ভিন্নজগত!

রেজাউল করিম রাজা

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:১২ পূর্বাহ্ণ

আমাদের মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, সব ব্যস্ততা ভুলে নিজের মত করে কিছুটা সময় কাটাতে। মানুষের এই স্বভাবসুলভ ইচ্ছাকে পূরণ করার যাবতীয় উপকরণ রয়েছে এমন একটি স্থান রংপুরের ‘ভিন্নজগত’।

দেশের নানান প্রান্ত থেকে প্রতিদিন বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন এখানে। আর বিভিন্ন উৎসবে মানুষের ঢল নামে ভিন্নজগতে।ভিন্নজগতের চারিদিকে সাজানো-গোছানো দেশি-বিদেশি হাজারও গাছ-গাছালির মাঝে সারাক্ষণ নানা প্রজাতির পাখির কোলাহল। সবুজ প্রকৃতির ছায়া ঘেরা পরিবেশে সারাটা দিন হেসে খেলে আপনি কাটিয়ে দিতে পারবেন। ছোট-বড়, তরুণ-তরুণী, অবাল-বৃদ্ধা সব বয়সের মানুষের পদাচারণায় সদা চঞ্চল রংপুরের ভিন্নজগত।

রংপুর শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা দূরে গঙ্গাচড়া উপজেলার খলেয়া গুঞ্জিপুর এলাকার নিরিবিলি পরিবেশে ২০০১ সালে বেসরকারিভাবে প্রায় ১শ’ একর জমির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘ভিন্নজগত’ নামের এই বিনোদন কেন্দ্র।
বাংলাদেশের প্রথম প্লানেটোরিয়ামটি এখানেই স্থাপন করা হয়েছিল, সেটা এখনও চালু আছে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত দোকানপাট, তিনশ আসনবিশিষ্ট আধুনিক কনফারেন্স কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, সুইমিংপুল ও মসজিদ আছে রংপুর ভিন্নজগতেএছাড়া বাচ্চাদের জন্য রয়েছে রোবট স্ক্রিল জোন, স্পেস জার্নি, জল তরঙ্গ, সি-প্যারাডাইস, আজব গুহা, নৌকা ভ্রমণ, শাপলা চত্বর, তাজমহল ও আইফেল টাওয়ারের রেপ্লিকা, ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ভাস্কর্য, ওয়াক ওয়ে, থ্রিডি মুভি, ফ্লাই হেলিকপ্টার, মেরি গো রাউন্ড, লেক ড্রাইভ ও বিভিন্ন ধরনের মজার মজার রাইড।বাচ্চাদের জন্যে আরও আছে ক্যাঙ্গারু, হাতি, ঘোড়া, ডায়নোসার সহ নানা জীবজন্তুর মূর্তি। এগুলো দূর থেকে দেখতে জীবন্ত মনে হলেও বাস্তবে এসব ইট, পাথর ও লোহা দিয়ে তৈরি।

যারা মাছ ধরতে ভালবাসেন শখের মৎস্য শিকারি, তাদের জন্য নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা আছে ভিন্নজগতে।
বিশাল আয়তনের এই ব্যতিক্রম ভিন্নজগতে একই সঙ্গে অন্তত ৫ শ’ পৃথক দলের পিকনিক করার ব্যবস্থা রয়েছে।
এর ভেতরেই অন্তত এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের করতে পারবেন ।ভিন্নজগতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভাল।দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বেশকিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখাশোনা করা হয়। এখানে দর্শনার্থীরা চাইলে রাতেও থাকতে পারবেন।
অনেক দূরের দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে রাত্রি যাপন করার জন্যে কটেজ রয়েছে ৭টি। রয়েছে থ্রি-স্টার মডেলের ড্রিম প্যালেস।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট