চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আইফেল টাওয়ার

রোজী আকতার

৩ মার্চ, ২০২০ | ১:৫০ পূর্বাহ্ণ

কেনো আইফেল টাওয়ার এত গুরুত্বপূর্ণ! আন্তর্জাতিক মেলার প্রবেশদ্বার এই আইফেল টাওয়ার, ত্রিশের দশক পর্যন্ত ছিল পৃথিবী সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা। আঠারো সহস্র বিভিন্ন কাঠামো ব্যবহৃত, ওজন বা আইফেল টাওয়ারের উপর তাপের প্রভাবে শীত কালের দৈর্ঘ্য এবং গরম কালে দৈর্ঘ্য। ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ের জন্য আইফেল টাওয়ার বিখ্যাত না। এসব তথ্যাদি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে মুখ্য নয়। মুখ্য কারণটি হল ‘আইকন’। এই আইফেল টাওয়ারকে ইচ্ছে করে আইকন বানানো হয়েছে। কারণটা কি? সেটাই এখন বলা হবে। আমরা জানি মিশরে আছে পিরামিড যা ইজিপ্শিয়ান আইকন বা তাদের সিম্বল। মিশর এই পিরামিডের জন্য বিখ্যাত ( যদিও তাদের অন্যান্য বিখ্যাত জিনিস আছে তবুও এটা মুকুটের প্রধান মুক্তা) । ভারতের আছে তাজমহল, এই তাজমহলের জন্য ভারত রীতিমতো বিখ্যাত। এইসব তাজমহল, পিরামিড, গ্রান্ড ক্যানিয়ন, কক্সবাজার এর মত সমুদ্র সৈকত, স্ট্যাচু অব লিবার্টি, প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান গুলো এক দিকে যেমন ন্যাশনাল ইমেজ তৈরি করে, অন্য দিকে বয়ে আনে প্রচুর টুরিস্ট যা জাতীয় আয়ের অনন্য উৎস।

এই সব নিদর্শন দেখার জন্য প্রতিবছর প্রচুর মানুষ সমাগত হয়। যা জাতীয় আয়ে রূপান্তরিত হয়। ফ্রান্সের সরকার এই প্রকল্প হাতে নেয়। এবং প্রকল্প যাতে বিশালাকার ধারণ করে তাই ফ্রান্সের সরকার বিশাল বিশাল ফিচার আনে। কী কী বিশালাকার বৈশিষ্ট্য এই স্থাপনাটি ধারণ করে তা আমরা পরে দেখব। প্রথমেই আমরা এর সৌন্দর্যের কথা বলতে পারি। দিনে এটা দেখতে দৈত্যাকার হলেও এক ধরনের স্নিগ্ধতা বিদ্যমান। আর রাতের আকাশেত এটা কুহকের সূচনা করে।

তারপর বলা যেতে পারে এর বিশালতার কথা! মানুষ সাধারণত বিশালাকার জিনিসের গুণগ্রাহী। আর এই বিশালত্বকে আরো বিশাল করতে এর জন্য ১৮ হাজার লোহার কাঠামো ব্যবহার করা হয়। এবং এর উচ্চতাও বিশাল! ৩২০ মিটার বা ১০৫০ ফুট! আর এত বড় স্থাপনাকে মরীচার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৩৫০ কেজি রং ব্যবহার করা হয়। আর প্রতি সাত বছর পরপর এই ১৩৫০ কেজি রং আবার লাগে। এই আশ্চর্য কাঠামো কে তুলে ধরার জন্য তিনটি পিলার স্থাপিত যা আবার তিন রকম। একটা খুব ছোট ১৯০ ফুট, আরেকটি ৩৭৬ এবং অন্যটি ৯০০ ফুট। আর হ্যা! এই আইফেল টাওয়ার একেবারেই যে শুধু সৌন্দর্য, আইকন, সিম্বোলিক বা জাতীয় প্রতীক তা না, যখন দেখা গেলো এই কাঠামোর উপরে একটি রেডিও যন্ত্রাংশ বসিয়ে দিলে এর সৌন্দর্য কিছুমাত্র ক্ষুণœ হবে না, তখন একটা রেডিও স্টেশন বসানো হয়। এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এই রেডিও স্টেশনটি জার্মান রেডিও সিগনালের প্রতিবন্ধকতায় কাজে লেগেছিলো। এই আইফেল টাওয়ার হিটলার কেউ আকর্ষণ করেছিলে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট