চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আসছে ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি

অনলাইন ডেস্ক

২৪ জুলাই, ২০২১ | ১:০৯ অপরাহ্ণ

মামলা জটিলতা নিরসনে দুই বছরেরও অধিক সময় পর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এবার চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শূন্যপদ পূরণে সরকারের এজেন্ডার অংশ হিসেবে এ নিয়োগ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ করতে চায় এনটিআরসিএ।

এ কারণে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছে এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্টরা। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে কত পদের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে তা নিয়ে হিসাব-নিকাশ চলছে। তবে অর্ধ লাখ শিক্ষক পদের বিজ্ঞপ্তি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত শূন্যপদ ধরে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৫৪ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা ছিল। এরপর দুই বছরের বেশি সময়ে যে পদগুলো ফাঁকা হয়েছে, সে পদগুলোর বিপরীতে এবার চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব ড. এ টি এম মাহবুব-উল করিম বলেন, মুজিববর্ষে শূন্যপদগুলো পূরণ করার একটি এজেন্ডা রয়েছে। আশা করি, চলতি বছরের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের কাজটি শেষ করতে পারব। আগামী তিন মাসের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমরা এ বিষয়ে যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করেছি।

এদিকে তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না পাওয়ায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফলাফল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ পদগুলো চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হবে।

এছাড়া এপর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার শূন্য পদের চাহিদা পেয়েছে এনটিআরসিএ। সব মিলিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে অর্ধ লাখ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তবে এ পদের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে।

এর মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েও নানা জটিলতায় এক হাজার ২৮৪ জনকে শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যোগদানের ব্যবস্থা করেছে এনটিআরসিএ।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদশূন্য থাকায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির কাজ শেষ করার পর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে এনটিআরসিএ। এতে আরও ৪৫ থেকে ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। দুই গণবিজ্ঞপ্তিতে ১ লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই রাতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএ। ওই গণবিজ্ঞপ্তি থেকে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জন এবং ননএমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।

ওইদিন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আবেদনকারীদের ফলাফল এত দিন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে নিয়োগের ফল আজই প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে রায় ২৮ জুন বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ।

এর আগে গত ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

আবেদন ফি কমছে

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মতো চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের কোনো পরিবর্তন না এলেও আবেদন ফির পরিমাণ কমানো হচ্ছে। আগে প্রতি স্কুলে আবেদনের জন্য ১৮০ টাকা লাগলেও এখন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে একজন প্রার্থীকে দিতে হবে ১০০ টাকা। একজন প্রার্থী ইচ্ছা মতো আবেদন করতে পারেন। প্রার্থী প্রথমে বিভাগ, তারপর জেলা এবং উপজেলায় প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১০০ টাকা করে লাগবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট