চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

অপেক্ষা এখন উৎসব আয়োজনের

মন্তব্য প্রতিবেদন

ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরী

৩ জুন, ২০১৯ | ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

দু’দিন পরই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। নামিদামি শপিংমলগুলোর পাশাপাশি রাস্তা-ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও পার করছেন ব্যস্ত সময়। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে সারা দেশে।
অন্যদিকে, ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। যারা শহরের কোলাহল ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ পালন করবেন তাদের অনেকেই শহর ছেড়েছেন। দুই-একদিনের মধ্যে শহুরে কোলাহল আরো কমে যাবে। আর তখন ঈদের আমেজে পুরো শহর ছেয়ে যাবে ভিন্ন মাত্রায়। ঈদকে কেন্দ্র করে রঙিন সাজে সাজেবে নগরী।
আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে সরকারি- বেসরকারি অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়দের উদ্যোগে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা সাজানো হবে। অনেকে আবার রঙিন আল্পনায় রাঙ্গিয়ে তোলেন রাস্তা-ঘাট। নতুন পাঞ্জাবি পরে সুগন্ধী লাগিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে সকালেই মসজিদ-ময়দানের দিকে ছুটবেন মুসল্লিরা।
এতোসব আয়োজনের পর যদি মুসল্লিদের অপরিচ্ছন্ন রাস্তা দিয়ে বা ডাস্টবিনের সামনে দিয়ে মুখ ঢেকে যাতায়াত করতে হয়, তাহলে ঈদের আমেজ- আনন্দ অনেকাংশেই ম্লান হতে বাধ্য। ঈদের সকালে এমন অপরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট কেউই প্রত্যাশা করেন না।
এক্ষেত্রে অর্থাৎ নগরজুড়ে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ এগিয়ে আসতে পারেন। প্রত্যেকেরই দায়িত্ব হচ্ছে নিজ নিজ এলাকার পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ নজর দেয়া। ঈদের আমেজকে আরো বাড়িয়ে দিতে রাস্তা-ঘাট পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নিতে পারেন। রাস্তার আইল্যান্ড কিংবা রাস্তার পাশে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সড়ক বাতিগুলো ঠিকভাবে জ্বলে কিনা, সেটি নিশ্চিত করারও উদ্যোগ নিতে পারেন কাউন্সিলরগণ। নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে। স্বল্প খরচে আকর্ষণীয় তোরণ নির্মাণ করা হলে এলাকায় উৎসবের আমেজ দ্বিগুণ হতে বাধ্য। দীর্ঘ একমাস যাবত সিয়াম সাধনার পর ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে কাউন্সিলরগণ আলোচ্য উদ্যোগগুলো নিলে অন্য এক নগরীর স্বাদ পাবেন নগরবাসী। এটা কোন বড় চাওয়া নয়। করদাতা নগবাসীর যৌক্তিক চাওয়া এটি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট