চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিশু জন্মহার নিয়ে উদ্বেগে চীন

অনলাইন ডেস্ক

১৮ জানুয়ারি, ২০২০ | ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

২০১৯ সালে চীনে শিশু জন্মহার সাত দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল বলে দেশটির সরকারি হিসাবে দেখা গেছে। ‘এক সন্তান নীতি’ থেকে পাঁচ বছর আগে সরে আসার পরও পরিবারগুলোর সন্তান জন্মদানে অনাগ্রহ ভাবিয়ে তুলছে কমিউনিস্ট এ রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের। খবর বিবিসি’র।

চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে ২০১৯ সালে শিশু জন্মহার ছিল প্রতি হাজারে ১০ দশমিক ৪৮, যা ১৯৪৯ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম। ওই বছর নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে এক কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার। এর আগের বছর ২০১৮ সালে এর চেয়েও ৫ লাখ ৮০ হাজার বেশি শিশু জন্ম নিয়েছিল।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের ভবিষ্যতের জন্য জন্মহারের এ ক্রমাবনতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। অবশ্য জন্মহারের এ দুর্দশার পরও চীনের মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটির ঘর ছুঁয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো; মৃত্যুহার জন্মহারের চেয়ে কয়েকগুণ কম হওয়ায় এমনটা হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, জন্মহার কমতে থাকায় ভবিষ্যতে চীনে কর্মক্ষম মানুষের তুলনায় বয়স্ক লোকের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে, যা তাদের অর্থনীতিকেও সমস্যায় ফেলবে। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের জন্মহার খানিকটা কম হলেও জাপানের চেয়ে বেশি।

১৯৭৯ সালে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চীন ‘এক সন্তান’ নীতি নিয়েছিল। যেসব পরিবার এ নীতি লঙ্ঘন করতো তাদেরকে জরিমানার মুখে পড়তে হতো, কাউকে কাউকে হতে হতো চাকরিহারা।

‘এক সন্তান’ নীতির কঠোর প্রয়োগের কারণে দেশটিতে প্রায়ই জোর করে গর্ভপাত করানোর ঘটনাও ঘটেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। এমন পদক্ষেপের ফলে চীনে নারী-পুরুষের অনুপাতে বড় ধরনের পার্থক্য রয়ে গেছে বলেও অনেকে মনে করেন।

চীনের সরকার ২০১৫ সালে ‘এক সন্তান’ নীতি শিথিল করে পরিবারগুলোকে দুটি সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়। এরপর দু’বছর জন্মহার খানিকটা বাড়লেও পরের বছরগুলোতে ফের তা নামতে থাকে নিচের দিকে।

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট