চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি সেনারা ‘বিপদে পড়তে পারে’: রুহানি

১৭ জানুয়ারি, ২০২০ | ২:২৭ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : বিদেশি শক্তিগুলোকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের জন্য বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, যদি তারা এ অঞ্চলে অবস্থান করে তাহলে তাদের ‘বিপদে পড়তে হতে পারে’।

স্থানীয় সময় বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এ সর্তকতা উচ্চারণ করেন রুহানি। ভাষণে রুহানি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনারা আজ বিপদের মধ্যে রয়েছে, সামনের দিনে ইউরোপিয়ান সেনারা বিপদে পড়তে পারে।

তবে কী ধরনের বিপদের বিষয়ে তিনি ইঙ্গিত করেছেন তা স্পষ্ট করেননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় দেশগুলোকে এমন হুমকি দিলেন রুহানি। ইরান এবং ছয়টি বিশ্ব শক্তির মধ্যে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত একটি বড় পারমাণবিক চুক্তির সীমাবদ্ধতা ভঙ্গ করার বিষয়ে তেহরানকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি চ্যালেঞ্জ জানানোর ঠিক একদিন পর এমন মন্তব্য এলো।

গত ২ জানুয়ারি মার্কিন হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয়পক্ষই তাদের ‘শক্তি’ প্রমাণে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে।

এরইমধ্যে ইরান কিছু মার্কিন স্থাপনার হামলা চালিয়ে ‘জবাব’ দিয়েছে। যা থেকে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও জাতিসংঘ বলেছে, আরেকটি যুদ্ধের ধকল সামলানো সম্ভব নয়।

দুই দেশই যখন অস্ত্রের ‘ঝনঝনাতি’ ব্যস্ত ঠিক তখনই তেহরানে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৩৭-৮০০ (ফ্লাইট- পিএস৭৫২) বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ আরোহী প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে ৮২ ইরানি, ৫৭ কানাডিয়ান, ৯ ইউক্রেনীয়, ৪ আফগান, ৪ ব্রিটিশ ও ৩ জার্মান নাগরিক ছিলেন।
এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ইরানের দিকে উঠলেও তারা প্রথমে তা অস্বীকার করে। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর ১১ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে, ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভুলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে ইউক্রেনের প্লেন। আর এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার
উত্তেজনা নতুন মোড়
নেয়।

শেয়ার করুন