চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ এড়ানোর নির্দেশ ট্রাম্পের

১৮ মে, ২০১৯ | ২:০২ পূর্বাহ্ণ

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : শীর্ষ উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে তার অনাগ্রহের বিষয়টি জানিয়েছেন বলে প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
“তিনি যুদ্ধে যেতে চান না। যারা যেতে চায়, তিনি তাদের মধ্যে নেই,” বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
হরমুজ প্রণালী নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই সামরিক সংঘাতে ট্রাম্পের অনিচ্ছার বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এলো। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইরান ও ওই অঞ্চলের তেহরানঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোর কর্মকা- মার্কিন গোয়েন্দাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রভাব শক্তিশালী হলে তা মার্কিন স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর- এ ভাবনা থেকে পেন্টাগন এরই মধ্যে অতিরিক্ত একটি বিমানবাহী রণতরী ও বেশ কয়েকটি বোমারু বিমানও পাঠিয়েছে। উপসাগরে সৌদি তেলের ট্যাঙ্কারসহ চারটি জাহাজে হামলার ঘটনার পর গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন বাগদাদের দূতাবাস থেকে কিছু কর্মকর্তাকে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়েও নিয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড বাহিনীকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের’ তালিকাতেও অন্তর্ভুক্ত করে। পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে তেহরান জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব স্থাপনা ও সৈন্য এখন তাদের নিশানায় পরিণত হয়েছে।
ফুটতে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই ট্রাম্প তার জাতীয় নিরাপত্তা দলের সদস্য ও অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে তার প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন তিনি, বলেছেন এক কর্মকর্তা। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প আফগানিস্তান ও ইরাকের মতো ব্যয়বহুল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আর জড়ানো উচিত নয় বলে অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন।
চলতি বছরের শুরুতে সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য ফিরিয়ে আনারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট উয়েলি মরেরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ানোর ইঙ্গিত দেন। “আশা করছি (হবে) না,” বলেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই; সুইজারল্যান্ডই তাদের মধ্যে লিয়াজোঁ রাখে।
“প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে বলেছেন- যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘাত চায় না; তিনি ইরানের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার দ্বারও খোলা রেখেছেন। যদিও ইরান গত ৪০ বছর ধরে সহিংসতার পথেই হেঁটেছে, আমরাও ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা ও স্বার্থ রক্ষা করে যাবো,” বলেছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দলের মুখপাত্র গ্যারেট মার্কুজ।

শেয়ার করুন