চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সমুদ্রে দ্রুত বাড়ছে মৃত অঞ্চল: হুমকির মুখে জীবন

পূর্বকোণ ডেস্ক

১৭ মে, ২০১৯ | ৫:১০ অপরাহ্ণ

ভয়াবহ হারে বেড়েই চলেছে সমুদ্রের অক্সিজেনশূন্য ডেড জোন বা মৃত এলাকা ৷ আরব সাগরে এর বর্তমান আয়তন প্রায় স্কটল্যান্ডের সমান৷ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই সঙ্কটের জন্য অন্যতম দায়ী মানবসৃষ্ট দূষণ৷

সমুদ্রে মৃত এলাকা বলা হয় সেসব স্থানকে, যেখানে অক্সিজেনের মাত্রা এতটাই কম যে, মাছ বা অন্যান্য প্রাণীর জীবনধারণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে৷ আরব সাগরের এই মৃত এলাকা পৃথিবীতে ‘সবচেয়ে বড়’ বলে দাবি লাখারের৷ লাখার বলেছেন “আরব সাগরের একশ মিটার থেকে শুরু করে দেড় হাজার মিটার গভীরতা পর্যন্ত পানিতে অক্সিজেন প্রায় নেই বললেই চলে,”৷

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এই মৃত এলাকার আয়তন দিন দিন বাড়াচ্ছে। এর ফলে শুধু আরব সাগরই নয়, ভারত মহাসাগর এবং ভারতের মুম্বাই থেকে শুরু করে ওমানের মাস্কট পর্যন্ত পড়বে নানা ধরনের প্রভাব৷ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সামুদ্রিক কোরালও৷

তাপমাত্রা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং পানিতে অক্সিজেনের হারের পরিবর্তন নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন জোহাইর লাখার৷ তার সংগ্রহ করা পরিসংখ্যান এক ভয়াবহ ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসেছে৷২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চালানো এই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয় এপ্রিলে৷ সেখানে দেখা যায়, আরব সাগরে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়ে চলেছে৷ ১৯৯০ সালে সবশেষ জরিপের পর সমুদ্রে মৃত এলাকার সৃষ্টির বর্তমান পরিস্থিতি রীতিমতো মারাত্মক৷

লাখারের সাথে অন্যান্য গবেষকরাও একমত যে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এই মৃত এলাকার আয়তন দিন দিন বাড়াচ্ছে৷ এর ফলে জীববৈচিত্র্য তো হুমকির মুখে পড়ছেই, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মৎস্য ও পর্যটন শিল্পও৷

গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের ডাইভার রোবট, যারা মানুষের পক্ষে যাওয়া অসম্ভব, এমন সব স্থানে পৌঁছে তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করেছে৷ যৌথভাবে এই গবেষণা পরিচালনা করেছে ব্রিটেনের ইস্ট আঙ্গেলিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ওমানের সুলতান কাবুস ইউনিভার্সিটি৷

১৯৯৬ সালের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, মৃত এলাকার সর্বনিম্ন গভীরতা কেবল সে এলাকার কেন্দ্রেই ছিল৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, পুরো মৃত এলাকা জুড়েই গভীরতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে৷

কার্বন নিঃসরণ কমাতে ২০১৫ সালে প্যারিসে জলবায়ু চুক্তি হওয়ার পর আশাবাদী হয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করায় হুমকিতে পড়েছে এই চুক্তি৷

শেয়ার করুন