চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আইসিজি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দাবি ও অং সান সু চির আগমনকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহর। সু চির উপস্থিতিতে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার শুনানি। শুনানি শেষে আদালত মিয়ানমারের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

এদিকে,জাতিসংঘ আদালতে শুনানি উপলক্ষে হেগে টানা তিন দিন বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে রোহিঙ্গা সংগঠনগুলো। মিয়ানমার সরকার সমর্থকরাও সেখানে সমাবেশ করবে। শুনানিতে ওআইসির পক্ষে মামলা দায়ের করা গাম্বিয়ার আইনজীবীরা ১৬ সদস্যবিশিষ্ট আদালতে পূর্ণাঙ্গ শুনানির আগেই সাময়িক পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানাবেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যেকোনো রায়ই চূড়ান্ত, বাধ্যতামূলকভাবে পালনীয়। চূড়ান্ত রায়ের পর আপিলের সুযোগ নেই। গত অক্টোবরে ইউএন নিউজের কনর লেননকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আইসিজের রেজিস্ট্রার ফিলিপ গটিয়ার। 

এদিকে, হেগে শুনানির প্রাক্কালে মিয়ানমারকে সর্বতোভাবে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে ৩০টি সংগঠন।

বুধবার হবে মিয়ানমারের শুনানি, যাতে অংশ নেবেন নোবেলজয়ী অং সান সু চি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে গাম্বিয়া এবং বিকালে মিয়ানমার প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন ও চূড়ান্ত বক্তব্য পেশ করবে।

গাম্বিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেবেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। রুয়ান্ডা গণহত্যার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তামবাদু।

তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ যুক্তরাজ্যের প্রফেসর ফিলিপ স্যান্ডসসহ বিশ্ব পরিসরে নেতৃস্থানীয় কয়েকজন আইনজ্ঞের শুনানিতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং কানাডার প্রতিনিধিরা শুনানির সময় পিস প্যালেসে থাকবেন। বাংলাদেশ-কানাডার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডস নেপথ্যে থেকে গাম্বিয়াকে সহযোগিতা করবে।

কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের পক্ষ থেকে সোমবার দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণহত্যায় দায়ীদের বিচার নিশ্চিতে গাম্বিয়ার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং এর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর কয়েক দশক ধরে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

সর্বশেষ গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট, বাস্তুচ্যুতের ঘটনা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে হবে।

আইজিসেতে বিচারের মাধ্যমে গণহত্যায় দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিতে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস সচেষ্ট। অন্য সব দেশকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

মামলার শুনানি শুরুর আগেই মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে।

দেশটির রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমর্থনকারী মানবাধিকার কর্মীরা বিশ্বব্যাপী এ প্রচার চালাচ্ছেন। ১০টি দেশের শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী সংগঠন ও ৩০ মানবাধিকার কর্মী একযোগে এ প্রচার শুরু করেছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট