১৫ মে, ২০১৯ | ১:১৬ পূর্বাহ্ণ
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : রোহিঙ্গাাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল জানায়, মিয়ানমার সেনাদের ‘জাতিগত উচ্ছেদ অভিযানের মুখে’ দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে যে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে আনতে কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিকে রাখাইন রাজ্যের মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা তখন তাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা, আটক ও গণধর্ষণের মত অপরাধ চালায়। তখন প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। জাতিসংঘের হিসাব মতে, সব মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রাখাইন ছেড়েছে।
আর মিয়ানমার সেনাদের এই রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযানকে ‘জাতিগত উচ্ছেদ’ হিসেবে উল্লেখ করে থাকে জাতিসংঘ। মিয়ানমারের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চেয়ারম্যান মঙ্গলবার এক বিবৃতেতে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। এখনও পুরোপুরি অচল অবস্থা বিরাজ করছে।’
অন্যদিকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সদস্য ক্রিস্টোফার সিদোতি বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্তমান ও অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘণের মত গুরুতর ইস্যুর সমাধানে আমাদের মিয়ানমারের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাদের ওপর চাপ বাড়াতে আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর লোকজনকে সনাক্ত করতে পারি এবং তাদের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ করা উচিত।’
জাতিসংঘের অভিযোগ কেবল রোহিঙ্গা নয়, সে দেশের সেনাবাহিনী মিয়ানমারের আরো অনেক জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সহিংসতা চালাচ্ছে।