ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : শিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিম ও সংখ্যালঘু অন্যান্য গোষ্ঠীর লোকদের গণআটক এবং তাদের প্রতি ‘কোনো ধরনের ক্ষমা প্রদর্শন না করার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ‘সন্ত্রাসবাদ, অনুপ্রবেশ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টার’ অংশ হিসেবে তিনি এ নির্দেশ দিয়েছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন, জাতিগত পরিচয় নির্মূলে শিনজিয়াংয়ে অন্তত ১০ লাখ উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনকে বন্দিশিবিরে আটক রেখেছে চীন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, তাদের হাতে এ সংক্রান্ত নথির চার শতাধিক পৃষ্ঠা এসেছে। চীনের ‘একটি রাজনৈতিক সংস্থার এক সদস্য’এ নথি ফাঁস করেছে ।
নথিগুলোতে বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিম ও সংখ্যালঘু অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকদের গণআটক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হবে এবং বিষয়টি সমালোচনার সৃষ্টি করবে সে সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন ছিলো চীন সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে শিনজিয়াংয়ের ট্রেন স্টেশনে উইঘুর যোদ্ধাদের হামলায় ৩১ জন নিহত হয়। এর কয়েক সপ্তাহ পরে শিনজিয়াং সফর করেন শি জিনপিং। ওই সময় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে তিনি উইঘুরদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর নির্দেশ দেন।
একটি বৈঠকে শি বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্য তাদের মতো কঠোর হতে হবে।’