চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দাবি ন্যাশনাল কনফারেন্সের

১৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করতে বিভিন্ন দলের নেতাদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। দলটির সচিব রতন লাল গুপ্তা নেতাদের ‘গৃহবন্দি’ করাকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, সরকারের উচিত ন্যাশনাল কনফারেন্সসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুক্তি দেওয়া।

জম্মু-কাশ্মীর থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ডা. ফারুক আবদুল্লাহ, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং পিডিপি নেত্রী ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি গৃহবন্দি রয়েছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বহু নেতা-কর্মী-সমর্থককে আটক অথবা গ্রেফতার করা হয়েছে।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র রতন লাল গুপ্তা এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, রাজনৈতিক নেতাদের আটকে রাখা দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক কর্মকা- বহাল করা এবং ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য মূলধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া জরুরি। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অনুযায়ী প্রাপ্ত অধিকার বাতিল করার পরে তিন মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে।

কিন্তু সেখানকার রাজনৈতিক বন্দিদের এখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের লোকেরা ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন নিরবচ্ছিন্নভাবে পুনরুদ্ধার করার দাবি করছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের লোকেরা কোনও বাধা ছাড়াই এসব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন। কাশ্মীরের লোকেদের মোবাইলে এসএমএসের পরিসেবা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।’

এদিকে, পিডিপি’র সিনিয়র নেতা বেদ মহাজন বলেছেন, প্রশাসন দলীয় সভাপতি মেহবুবা মুফতির সাথে দেখা করার জন্য সময় দিচ্ছে না। শ্রীনগরের ডিসি’র সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। মহাজন বলেন, পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতির সাথে দলীয় নেতাদের সাক্ষাৎ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দলকে আগামী দিনের রণকৌশল অবলম্বন করতে সহায়তা করবে।
এদিকে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীতে কাশ্মীরের ঐতিহাসিক হজরতবাল দরগাহে ধর্মীয় জমায়েত না করতে দেয়ায় ন্যাশনাল কনফারেন্স তার নিন্দা করেছে। দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হায়েছে, ‘প্রশাসনের ওই পদক্ষেপ গ্রহণ মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপরে নিষেধাজ্ঞা। উপত্যকার সর্বাধিক পবিত্র দরগাহ এবং মসজিদগুলো এখন দুর্ভাগ্যক্রমে বিরান হয়ে আছে, যেখানে বহু ধর্মীয় কর্মকা- চলত।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট