চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বিদেশি চিকিৎসক-নার্সদের সহজ ভিসার প্রতিশ্রুতি জনসনের

৯ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:২৪ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে আসা চিকিৎসক ও নার্সদের ভিসা সহজ ও সুলভ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গতকাল শুক্রবার জনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ‘ফাস্ট-ট্র্যাক’ ভিসার মাধ্যমে আসা চিকিৎসা পেশার এসব মানুষেরা যুক্তরাজ্য পরিচালিত জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার (এনএইচএস) ঘাটতি দূর করতে সক্ষম হবে বলে দলটির প্রত্যাশা।

১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হলে নতুন পয়েন্টভিত্তিক অভিবাসন পদ্ধতির (পিবিআইএস) অংশ হিসেবে এই এনএইচএস ভিসা চালুর পরিকল্পনা করছে কনজারভেটিভ পার্টি। এই ধরনের ভিসার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যোগ্য ডাক্তার ও নার্সদের জন্য ফি ভাগ করে দেওয়া ও দুই সপ্তাহের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সুযোগ।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, ‘আমি চাই দেশে প্রশিক্ষণ সম্প্রচারিত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের এনএইচএস’র হয়ে বিশ্বসেরারা সেবা প্রদান করুক। আমাদের এনএইচএসেও বিশ্বসেরা প্রতিভা আকৃষ্ট করতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুরু থেকেই এনএইচএস বৈশ্বিকভাবে নিয়োগ দিয়ে আসছে। এই নতুন ভিসার ফলে আমাদের পক্ষে অন্য দেশগুলোর সেরা ডাক্তার ও নার্সদের এনএইচএসে আনা ও কাজ দেওয়া সহজতর হবে- যাতে রোগীরা সর্বোত্তম সম্ভাব্য সেবা নিতে পারবেন। প্রয়োজনীয় মুহূর্তে এনএইচএস সর্বদা আপনার পক্ষে থাকার নিশ্চয়তা দিতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এসব বিষয়।’

প্রস্তাবিত এনএইচএস ভিসার বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, ৯২৮ ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি)-কে ভাগ করে এর অর্ধেক ফি ৪৬৪ জিবিপি দেওয়া, দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্যারান্টিযুক্ত সিদ্ধান্তসহ আবেদনকারীর জন্য একটি ফাস্ট-ট্র্যাক প্রক্রিয়া, এনএইচএসে কাজ করতে আসা যে কারো জন্য অতিরিক্ত পয়েন্ট প্রদানসহ নতুন পদ্ধতিতে অগ্রাধিকারমূলক চিকিৎসা, তাদের বেতনের মাধ্যমে অভিবাসন স্বাস্থ্য অধিভার (আইএইচএস) প্রদানের সুযোগ।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্টমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো অস্ট্রেলিয়ার মতোই পয়েন্টভিত্তিক অভিবাসন পদ্ধতিতে আমাদের পরিকল্পনার অংশ। যাতে নার্সদের মতো চিকিৎসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পেশার সুযোগ উন্মুক্ত রেখে এর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ থাকে।’
তিনি বলেন, ‘এর মানে হচ্ছে আমাদের এনএইচএস যাতে দারুণ পরিষেবা প্রদান অব্যাহত রাখে এজন্য বিশ্বজুড়ে প্রতিভা আকৃষ্ট করা। ব্রিটেনের সীমান্ত উন্মুক্ত রেখে যাতে কোনও চাপের মুখে পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করা।’ জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম ভাষণে অস্ট্রেলিয়ার মতোই পয়েন্টভিত্তিক অভিবাসন পদ্ধতির পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছিলেন বরিস জনসন।

শেয়ার করুন