চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

যুদ্ধবিরতিতে না এরদোয়ান’র, পুতিনের আমন্ত্রণ গ্রহণ

তবুও তুরস্কে যাচ্ছেন দুই ‘মাইক’

১৭ অক্টোবর, ২০১৯ | ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এরদোয়ান’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ তুরস্ক যাচ্ছেন।
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আশু যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জানানো আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেছেন, “তারা বলছে ‘যুদ্ধবিরতি ঘোষণা কর’। আমরা কখনোই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবো না। “অভিযান বন্ধের জন্য আমাদের চাপ দিচ্ছে তারা। তারা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। কোনো নিষেধাজ্ঞায় আমরা উদ্বিগ্ন নই।”

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর তুরস্ক সফরের আগে এসব মন্তব্য করলেন এরদোয়ান। আজ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পেন্স ও পম্পেওর সঙ্গে এরদোয়ান সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তুরস্ক ‘আশু যুদ্ধবিরতি গ্রহণ না করলে ও না করা পর্যন্ত’ এবং সীমান্তে ইস্যুতে দীর্ঘস্থায়ী মীমাংসার আলোচনায় বসতে রাজি না হওয়া হলে দেশটির ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হতে পারে বলে সোমবার সতর্ক করেছিলেন পেন্স। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী স্থানগুলো থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের হটাতে সেখানে পরিকল্পিত এক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। কুর্দিদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রর ওই অঞ্চল থেকে নিজেদের বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার পরই অভিযানে নামে তুরস্কের সামরিক বাহিনী।

তুরস্কের এই অভিযানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে মার্কিন কংগ্রেস। তার প্রশাসনের অনুগত বলে পরিচিত রিপাবলিকানরাও এতে সমর্থন জানিয়েছে। এদিকে সিরিয়ায় সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। পুতিন এরদোয়ানকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন বলে বুধবার ক্রেমলিন জানিয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থনকারী রাশিয়া জানিয়েছে, তারা সিরিয়া ও তুরস্কের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাবে।

কুর্দিদের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তির পর তুরস্কের অভিযান রুখতে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করেছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। এতে তাদের সঙ্গে তুরস্কের বাহিনীর সংঘাতের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।

শেয়ার করুন