যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের অংশ হিসেবে আরও তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে এই তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। মুক্তি পেতে যাওয়া তিন বন্দির নামের তালিকা হাতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মুক্তি পেতে যাওয়া তিন ইসরায়েলি জিম্মি হলেন- আয়ার হর্ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক সাগুই ডেকেল-চেন এবং রাশিয়া ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক আলেকসান্দ্রে সাশা ত্রোফানভ। তাদের সবাইকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপকূলবর্তী কিবুত্জ নির ওজ এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।
হামাস আগে জানিয়েছিল, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে তারা আর বন্দি মুক্তি দেবে না। ইসরায়েলও পাল্টা হুমকি দিয়ে জানায়, তারা আবার সামরিক অভিযান শুরু করবে। ইতিমধ্যে রিজার্ভ সেনাদের ডেকে প্রস্তুত রেখেছে তারা।
এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর,এই যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়ানো হয়েছে।
হামাস জানিয়েছে, এই তিনজনকে ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ফেরত পাঠানো হবে। এতে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা কিছুটা কমেছে।
কারণ প্রথম ধাপে গাজায় ৪২ দিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া কথা। গত ১৯ জানুয়ারি এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ৩৩ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস।
চুক্তি মেনে এখন পর্যন্ত ১৬ ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এ ছাড়া নিজেদের উদ্যোগে পাঁচ থাই নাগরিককেও মুক্তি দিয়েছে তারা। বিনিময়ে কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
এই যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য ছিল আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, যাতে অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত হয়।
এর মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ও গাজার পুনর্গঠন শুরু হতে পারে। বর্তমানে অঞ্চলটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং সেখানে খাদ্য, পানি ও বিদ্যুতের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর