চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রায় ১০০ নিরাপত্তারক্ষী আহত

কাশ্মীরে দুই মাসে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ৩০৬

১৩ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধাসম্বলিত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় গত দু’মাসে ৩০৬ টি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় ৮৯ জন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানসহ প্রায় ১০০ নিরাপত্তারক্ষী পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন। কেন্দ্র সরকারের একটি অভ্যন্তরীণ নোটকে উদ্ধৃত করে গতকাল গণমাধ্যমে ওই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যটি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কায় সেখানে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সেখানকার বহু রাজনৈতিক নেতাসহ কমপক্ষে ৪ হাজার জনকে আটক অথবা গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়পক্ষ থেকেই বার বার জানানো হয়েছিল, কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ রয়েছে।

কিন্তু, কেন্দ্র সরকারের অভ্যন্তরীণ নোটে স্পষ্ট যে সরকারের আগেকার দাবি আর বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে আসমান-জমিন ব্যবধান রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন এতদিন বরাবর দাবি করে এসেছিল, ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে উপত্যকা যেভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছিল, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মতো ঘটনার পরেও তার কিছুই দেখা যায়নি। বরং, বিক্ষিপ্ত কিছু পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয় প্রশাসন আরও দাবি করেছিল, ২০১৯ সালের প্রথম ছ’মাসে কাশ্মীরে মাত্র ৪০ টি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

কিন্তু এখন সরকারি রেকর্ডেই প্রকাশ, কাশ্মীরে গত দু’মাসেই ৫টি এনকাউন্টারের ঘটনায় ১০ ‘সন্ত্রাসী’ ও পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। দু’টি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও দু’বার নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে চেষ্টা হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলাও হয়েছে। তাতে অবশ্য কেউ হতাহত হয়নি। একইসঙ্গে কাশ্মীরে অস্বাভাবিক মৃত্যুও ঘটেছে। শ্রীনগরের শৌরা এলাকায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র ছররা গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠলেও সেনাবাহিনী তা নাকচ করে দিয়েছে।

শেয়ার করুন