চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কুর্দিদের ওপর তুরস্কের হামলায় সায় নেই যুক্তরাষ্ট্রের

১১ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৫০ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরপরই গোলাবর্ষণ করা হয়। এদিকে এ হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘সবুজ সংকেত’ দেয়নি বলে দাবি করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, পম্পেও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হামলার বিষয়ে তুরস্ককে সবুজ সংকেত দেয়নি।’ এর আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এক টুইটার বার্তায় কুর্দিদের ওপর হামলার ঘোষণা দেন। সীমান্তে কুর্দিদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা ও কামানের গোলা নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত করা হলে, হাজার হাজার বেসামরিক অধিবাসী সীমান্তবর্তী জায়গা ছেড়ে চলেন যেতে বাধ্য হন।

এদিকে হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। তিনি এক টুইটার বার্তায় দাবি করেন, কুর্দিশ ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ ১৮১টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। তুরস্ক পক্ষের সিরিয়ান যোদ্ধাদলের এক বার্তাবাহকের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, তেল আবাদ থেকে এ হামলা শুরু হয়। গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গত সোমবার সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন না দিলেও কোনো বাধা দেবে না বলে জানানো হয়েছিল। তবে সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় তুরস্কের হামলার পর সুর পাল্টে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামলায় সায় নেই জানিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

পম্পেও বলেন, ‘তুরস্ককে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক হামলার অনুমতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।’

তবে সে অঞ্চল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলায় সম্মতি দিয়েছে বলে মিথ্যে দাবি করছে তুরস্ক।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট