চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

আল-কায়েদার দক্ষিণ এশিয়া প্রধান বিমান হামলায় নিহত

১০ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:১৫ পূর্বাহ্ণ

জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার দক্ষিণ এশিয়া শাখার প্রধান মাওলানা অসীম ওমর মার্কিন বিমান হামলায় আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা অধিদপ্তর টুইটারে এ তথ্য নিশ্চিত করে। মাইক্রোব্লগিং সাইটে দপ্তরটি বলেছে, চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি এবং তার সঙ্গে থাকা আরও ছয়জন মার্কিন-আফগান যৌথ অভিযানে

নিহত হন। দেশের হেলমান্দ প্রদেশের মুসা কালা জেলার তালেবান চত্বরে তারা সাতজন মারা যান। ২০১৫ সালের ফ্রেবুয়ারিতে ঢাকায় মুক্তমনা লেখক-ব্লগার অভিজিত রায়কে কুপিয়ে হত্যার পর এই আসিম উমরই প্রথম এক ভিডিও বার্তায় ওই হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করেছিলেন বলে সাইট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছিল।

ওমর ছিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের সাম্ভাল অঞ্চলের দীপা সারাই এলাকার অধিবাসী। সেখানে তিনি সানাউল হক আলিয়াস সান্নু নামে পরিচিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাস’ বলে ঘোষণা দিলে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।-বাংলানিউজ

উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেন তিনি। এরপর ভর্তি হন পাকিস্তানের ‘ইউনিভার্সিটি অব জিহাদ’ নামে পরিচিত নাওসেরার দারুল উলুম হাকানিয়া মাদ্রাসায়। জিহাদি সাহিত্য ও সমরাস্ত্র প্রশিক্ষণের পর হারকাত-উল-মুজাহিদীনে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে পাকিস্তানের তাহরিক-ই-তালেবানে (টিটিপি) চলে যান। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ (একিউআইএস) শাখা গঠন করে সংগঠনটির নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। সেবছরই তিনি এই শাখার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন ওমরকে।

দিল্লি পুলিশের অভিযানে আটক আল-কায়েদা প্রশিক্ষণ ও নিয়োগদাতা মোহাম্মদ আসিফের মাধ্যমে এ তথ্য জানতে পারে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

তখন ওমরের আল-কায়েদায় যোগ দেওয়ার ঘটনায় অবাক হয় গোয়েন্দা সংস্থা। কারণ ২০০৯ সাল থেকেই ওমর তাদের নজরদারিতে ছিলেন। সেসময় তারাই ওমরের পরিবারকে জানায়, তাদের ১৪ বছরের ছেলে নিখোঁজ ওমর বেঁচে আছে এবং টিটিপির হয়ে কাজ করছে।

ঘটনা জানতে পেরে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তার পরিবারের বেশ কয়েক সদস্য অবাক হয়। পরে ওমরের বাবা ইরফান-উল-হক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওমরকে ‘ত্যাজ্য’ বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, ১৯৯৫ সালে নিখোঁজ হওয়ার আগে মক্কা যাওয়ার জন্য পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেছিলেন ওমর।

শেয়ার করুন